নয়া দিল্লি: চলতি মাসের শুরুতেই অনুমোদন মিলেছে জনসন অ্যান্ড জনসনের (Johnson & Johnson COVID-19 Vaccine)। প্রাপ্তবয়স্কদের পর এ বার শিশুদের টিকাকরণের জন্য ট্রায়ালের (Clinical Trial) অনুমতি চাইল মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাকরণের জন্য পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এ দিন সকালেই মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সংস্থার তরফে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত দেশের সমস্ত বয়সীদের করোনা টিকা দিতে উদ্যোগী তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করার জন্য সমস্ত বয়সীদের উপর করোনা টিকার ট্রায়াল চালানো প্রয়োজন। সমস্ত বয়সসীমার মানুষই যাতে করোনা টিকা পান, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।”
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই আমেরিকায় জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছিল জনসনের টিকা। এরপর সিঙ্গল ডোজ়ের এই ভ্যাকসিন ভারতেও জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে গত ৭ অগস্ট। হায়দরাবাদের বায়োলজিকাল-ই নামক সংস্থার সঙ্গে মিলিত চুক্তিতে ভারতে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের কারণে মাঝারি থেকে জটিল অসুস্থতার ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্য়াকসিন। করোনা সংক্রমণ রুখতেও ৮৫ শতাংশ কার্যকরী সিঙ্গল ডোজ়ের এই ভ্যাকসিন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানান, শীঘ্রই ভারতে শিশুদের জন্য করোনা টিকা মিলবে। ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলা সংস্থা ইতিমধ্যেই শিশুদের ভ্য়াকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই ট্রায়ালের ফলাফল পাওয়া যাবে। তার ভিত্তিতেই অনুমোদন দেওয়া হবে। গতমাসে দিল্লির এইমসের প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়াও জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশে শিশুদের টিকাকরণের জন্য দুটি ভ্য়াকসিনের অনুমোদন মিলতে পারে। শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গেলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে আরও সুবিধা হবে বলেই জানান তিনি।
গতমাসে ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার তরফেও সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়াকে দুই থেকে ১৭ বছর বয়সী ৯২০ জনের উপর কোভোভ্যাক্সের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মূলত নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছুজনের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করাকেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বলা হয়।
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই অধিক সংক্রমিত হতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক-গবেষকরা। অন্যদিকে, প্রায় বিগত দেড় বছর ধরেই স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিশুদের মানসিকতার উপরও ব্যপক প্রভাব পড়েছে। সেই কারণেই সংক্রমণ কিছুটা কমতেই ধীরে ধীরে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আরও পড়ুন: ফের মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ব্লিনকিন, আফগান পরিস্থিতিতে ‘মিলিত সিদ্ধান্ত’ নিতেই সম্মত ২ দেশ