মন গলেছে সেনা প্রত্যাহারে, ৭৫ মিনিটের ফোনালাপ ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীর

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 26, 2021 | 12:44 PM

শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) প্রায় ৭৫ মিনিট ধরে কথা বললেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)-র সঙ্গে। আগামিদিনে কোন পথে সেনা প্রত্যাহার করা হবে, সেই বিষয়েই আলোচনা করলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

মন গলেছে সেনা প্রত্যাহারে, ৭৫ মিনিটের ফোনালাপ ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: সেনা প্রত্যাহারেই গলছে বরফ। গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of actual Control) ঘিরে ভারত-চিনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল দুই দেশের। দশ দফা সামরিকস্তরে বৈঠকের পর অবশেষে পূর্ব লাদাখে প্যাংগং হ্রদ (Pangong Lake)-র চারপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশই। এরপরই শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) প্রায় ৭৫ মিনিট ধরে কথা বললেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)-র সঙ্গে। আগামিদিনে কোন পথে সেনা প্রত্যাহার করা হবে, সেই বিষয়েই আলোচনা করলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ৭৫ মিনিটের বার্তালাপে ওয়াং ই-কে বলেন, প্যাংগং হ্রদে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে, এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বাকি অঞ্চলগুলিতেও সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করতে হবে। আগামিদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জয়শঙ্কর জানান, প্রতিটি সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হলে দুই দেশ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করতে হবে।

এদিকে, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই(Wang Yi)-ও প্যাংগং থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ফোনালাপে তিনি বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি ফেরাতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘস্থায়ী ফলাফলের জন্য দুই পক্ষকেই সমানতালে প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং বিভিন্ন স্তরে দুই দেশ যাতে সহমত হয়, সেই বিষয়টিও প্রতিস্থাপিত করতে হবে। সীমান্ত ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আরও উন্নত হতে হবে।”

আরও পড়ুন: ভারত বনধ আপডেট: সকাল থেকেই বন্ধ অধিকাংশ দোকান, স্তব্ধ পণ্যবাহী যান চলাচল

দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বার্তালাপের বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতি আনতে ভারতের তরফে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক স্বার্থরক্ষার যে তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেই শর্তগুলি পূরণে চিনের বিদেশমন্ত্রীও সহমত হয়েছেন। একইসঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রক্ষায় জোর দেওয়ার বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার বিষয়টিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।

বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় বৈঠকের সময়ও বিদেশমন্ত্রী চিনের উস্কানিমূলক ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বিগত কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও যে প্রভাবিত হয়েছে, সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে সীমান্তে সমস্যা সমাধানে সময় লাগলেও এর প্রভাব দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে পড়ছে।”

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারে লাগাম দিতে একগুচ্ছ গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র

Next Article