ভারত বনধ আপডেট: সকাল থেকেই দেশজুড়ে বন্ধ দোকানপাট, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ব্যবসায়ী সংগঠনের

আজ সকাল থেকেই বীরভূম(Birbhum), বর্ধমান (Burdwan) সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসায়ী সংগঠনরা সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। রাজ্যের বাইরে ওড়িশা (Odisha), তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) সহ একাধিক রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাট। রাস্তাঘাটেও দেখা মিলছে না পণ্যবাহী যানবাহনের।

ভারত বনধ আপডেট: সকাল থেকেই দেশজুড়ে বন্ধ দোকানপাট, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ব্যবসায়ী সংগঠনের
সকাল থেকেই বন্ধ দোকানপাট, শুনসান করছে রাস্তাঘাট। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Feb 26, 2021 | 4:06 PM

নয়া দিল্লি: খালি রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট। শুক্রবার সকালে এমন চিত্রই ধরা পড়ল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি (Fuel Price hike), জিএসটি(GST) ও নতুন ই-ওয়ে বিল(e-Way Bill)-র প্রতিবাদে শুক্রবার ভারত বনধ (Bharat Bandh)-র ডাক দিয়েছিল কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার (Confederation of All India Traders)। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল চার হাজারেরও বেশি বণিক সংগঠনগুলি। একইসঙ্গে অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন(All India Transporters Welfare Association)-র তরফেও প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমর্থন জানিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলিও।

দেশের প্রায় দেড় হাজার শহর জুড়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হবে বলেই জানানো হয়েছে বণিক সংগঠনগুলির তরফে। অন্যদিকে, ট্রান্সপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, লক্ষাধিক ট্রাক রাস্তায় দাঁড় করিয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হবে। দিল্লিতে আন্দোলনকারী সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha)-র তরফেও শান্তিপূর্ণভাবে পথ অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

কেমন প্রভাব বনধের?

পশ্চিমবঙ্গ:  জ্বালীনির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সর্বভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির ডাকে আজ সকাল থেকেই বীরভূম, বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। রাস্তায় দেখা মিলছে না পণ্যবাহী যানবাহনেরও।

ওড়িশা: রাজ্যের বাইরেও একাধিক রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাট। ওড়িশায় রাস্তাতেই দেখা গেল দাঁড়িয়ে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলি। সকালে খোলেনি কোনও দোকান।

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারে লাগাম দিতে একগুচ্ছ গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র

দিল্লি: ভারত বনধের প্রভাব পড়েছে দিল্লিতেও। দুপুরে একাধিক বণিক সংগঠনগুলি হাতে পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। জিএসটির নিয়মনীতি পরিবর্তনের দাবিতে তাঁরা পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান।

অসম:  প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও জিএসটির আইনী জটিলতার প্রতিবাদে বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত পণ্যবাহী যানবাহন। প্রতিবাদ স্বরূপ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ট্রাকের গায়েও লাগানো হয়েছে ভারত বনধের পোস্টার।

ভারত বনধ ডাকের কারণ:

অবরোধকারীদের দাবি, জিএসটি ব্যবস্থাটি পুর্নবিবেচনা করা দরকার। নতুন নিয়মে সম্পূর্ণ কর ব্যবস্থাটি জটিল, এতে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত হেনস্থার সম্মুখীন হচ্ছে। দ্রুত কর ব্যবস্থার সরলীকরণ করা উচিত। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণেও ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আজ ভারত বনধ, কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়?

এদিকে, ট্রান্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, নতুন ই-ওয়ে নিয়মে বলা হয়েছে যাঁরা পণ্য পাঠাতে চাইছেন, তাঁদের পণ্যের তথ্য অনলাইন পোর্টালে আগে নথিভুক্ত করতে হবে। এরপর পরিষেবাকারীকে তাঁদের গাড়ির নম্বর অনলাইন পোর্টালে আপলোড করতে হয়। পরিবাহনকারীকে প্রতিদিন ২০০ কিমি যাত্রা পূরণ করতেই হবে। তবে রবিবার বা অন্য কোনও ছুটির দিনে, পথ দুর্ঘটনা, রাস্তায় যানজট, চালকের সমস্যা সহ নানা কারণে এই শর্তগুলি পূরণ করা সম্ভব হয় না। কোনও ভুল-ভ্রান্তি হলেই কতরের প্রায় ২০০ শতাংশ বা ইনভয়েস মূল্যের প্রায় ১০০ শতাংশই পরিষেবাদাতাদের দিতে হয়।

পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “সমস্ত পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হবে এবং রাস্তাতেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হবে। ওইদিন যাতে কোনও বুকিং না নেওয়া হয়, সেই বিষয়েও আবেদন জানানো হচ্ছে।”