জেনেভা: বারংবার সন্ত্রাসবাদী হামলা, অনুপ্রবেশ। পাকিস্তানের ‘অত্যাচারে’ অতিষ্ঠ ভারত। একাধিকবার পাল্টা জবাব দেওয়া হলেও, শিক্ষা নেয় না প্রতিবেশী দেশ। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানের তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মূলকেন্দ্র পাকিস্তান। সে দেশের উচিত নিজেদের কার্যকলাপ ঠিক করা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা।”
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “এক দশক আগে হিলারি ক্লিনটন তাঁর পাকিস্তান সফর চলাকালীন বলেছিলেন, যদি তুমি নিজের বাগানে সাপ রাখো, তাহলে সেই সাপ শুধুমাত্র আপনার প্রতিবেশীদেরই কামড়াবে, এই আশা করতে পারেন না। পাকিস্তান পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। সেই কারণেই গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের মূলকেন্দ্র বলে মনে করে।”
পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করে বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তারা বলতে পারবেন পাকিস্তান কতদিন সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ চালু রাখার পরিকল্পনা করছে। বিশ্ব বোকা নয়, তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত দেশ ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। আমার পরামর্শ হল, নিজেদের কার্যকলাপ শোধরান এবং একজন ভাল প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করুন।”
#WATCH |…They’re ministers in Pakistan who can tell how long Pakistan intends to practice terrorism. World isn’t stupid, it increasingly calls out countries, orgs indulging in terrorism…my advice is to clean up your act & try to be good neighbour:EAM S Jaishankar at New York pic.twitter.com/BJYmNcb2Oj
— ANI (@ANI) December 15, 2022
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, সন্ত্রাসবাদের সমসাময়িক মূলকেন্দ্রগুলি এখনও সক্রিয় রয়েছে। চিন ও পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বিনা কারণে বাধা দিচ্ছে, সেই প্রসঙ্গ টেনেও দুই প্রতিবেশী দেশকে নাম না করে আক্রমণ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না এই সন্ত্রাসবাদ।”
বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বা হুমকি বর্তমানে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি আল কায়দা, দয়েশ, বোকো হারাম ও আল সাবাব সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কীভাবে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করেছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবারও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতেই চিন-পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, “যে দেশ ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়, তারা কোনওভাবেই এই কাউন্সিলে বলার অধিকার রাখে না।””