নয়া দিল্লি: চূড়ান্ত দিন হাজির। ২৫ মে অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যের কেন্দ্রের নিয়ম মেনে সমস্ত তথ্য জমা না নিলে দেশে বন্ধ হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) পরিষেবা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচারক মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য একটি গাইডলাইন জারি করে এ কথাই জানিয়েছিল। সেই মতো শেষদিন হয়ে গেলেও আপাতত কোনও দস্তাবেজ জমা পড়েনি কেন্দ্রের কাছে। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। তবে শেষদিনে এসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সরকারের নিয়ম মেনে কাজ করতে বদ্ধপরিকর তারা।
ফেসবুকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা কেন্দ্রের নিয়ম মেনে চলার পক্ষে। তবে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। ফেসবুক জানিয়েছে, মানুষ যাতে মুক্তভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে নিজেদের ব্যক্ত করতে পারেন। তারা সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-সহ সমস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিকেও একটি ছাতার তলায় একপ্রকার নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্র। মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রত্যেক সংস্থাকে তাদের ভারতে থাকা দফতরের ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের নম্বর দিতে হবে। ভারতে থাকা কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতে হবে, যে কোনও অভিযোগের সমাধান করতে হবে, আপত্তিকর কন্টেন্টের উপর সর্বদা নজরদারি চালাতে হবে, কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা করতে হবে এবং আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলতে হবে।
কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার স্বতন্ত্রতা এবং স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে সেই সময় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। কেন না সরকার যদি কোনও কন্টেন্ট আপত্তিকর বলে মনে করে, তখনই তা মুছে ফেলার দাবি তুলবে। এতে বিরোধী রাজনৈতিক মতপ্রকাশও একপ্রকার বন্ধ করে দেওয়া যাবে বলে আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্র জানিয়েছিল যদি ২৫ মে-র মধ্যে এই নিয়ম পালনে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে তা ফৌজদারি অপরাধের সামিল হবে এবং এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্তও হতে পারে।
যদিও সরকারি সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার কেন্দ্রের কাছে তথ্য জমা দেয়নি। জমা দিয়েছে স্রেফ ‘কু’। তবে ফেসবুকের এহেন বক্তব্যের পর তথ্য জমা পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: বেতন-সহ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, করোনায় মৃত কর্মীর পরিবারের দায়িত্ব নেবে টাটা