উত্তর প্রদেশ: মিউকরমাইকোসিস, শ্বেত ছত্রাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাস সংক্রমণের পর এ বার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হলুদ ছত্রাক (Yellow Fungus)। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে হলুদ ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন এক বছর পঁয়তাল্লিশের করোনা রোগী। সূত্রের খবর, গাজিয়াবাদের ওই ব্যক্তি হলুদ ছত্রাকের পাশাপাশি শ্বেত (White Fungus) ও কৃষ্ণ ছত্রাকেও (Mucormycosis) আক্রান্ত হয়েছেন। গাজিয়াবাদের চিফ মেডিক্যাল অফিসার এন কে গুপ্ত জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ওই ব্যক্তি। কয়েকদিন আগে, চিকিৎসকেরা দেখেন, তাঁর চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, নাক দিয়েও রক্ত পড়তে দেখা যায়। তারপরেই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্তে আসেন যে ওই ব্যক্তি হলুদ ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্ত।
দিল্লি এইমসের (AIIMS) পদকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, রঙ ভেদে বিভিন্ন প্রকারের ছত্রাক সংক্রমণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। অঞ্চলভেদের জন্যই ছত্রাকের রঙের তারতম্য ঘটছে। তবে এই ছত্রাক ছোঁয়াচে নয়। যে সমস্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম,তাঁরাই এ ধরনের সংক্রমণের শিকার। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাস ধীরে ধীরে শরীরের নানা অঙ্গে ছড়ায়। কিন্তু, ইয়েলো ফাঙ্গাস সরাসরি শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলিকে আক্রমণ করে। খাদ্যনালী, অন্ত্র সংক্রমিত হয়। মাল্টি অর্গান ফেলিওর দেখা যেতে পারে রোগীর। অপরিচ্ছন্ন জায়গা থেকেই মূলত এই ধরনের সংক্রমণ ছড়ায় বেশি। বাসি, পচা খাবার থেকে মূলত এই ছত্রাক জন্মায়। অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কিছু ওষুধ থেকেও হলুদ ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
অন্যদিকে, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, শরীরে করোনার প্রভাব ১২ সপ্তাহ এমনকী আরও দীর্ঘমেয়াদের জন্য দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন এইমস পরিচালক ড. রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, করোনা সেরে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চলা উচিত। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও অনেকেই ভুগছেন গায়ে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায়। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে ৪-১২ সপ্তাহ ধরে যদি উপসর্গ দেখা দেয় তখন তা ‘পোস্ট অ্যাকিউট কোভিড সিনড্রোম’ বলা হয়। ড. গুলেরিয়া জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অতিসক্রিয়তার কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪২৭ জন। অর্থাৎ দীর্ঘ ৪০ দিন পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের নীচে নামল। কমেছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৫১১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৫০ জন। এর আগের দিন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ লক্ষ ২২ হাজার ৩১৫। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪,৪৫৪ জন।
উত্তর ২৪ পরগনা: বেলাগাম করোনা (corona) সংক্রমণে রাশ টানতে উদ্যোগী হল বনগাঁ পৌরসভা। চালু করা হল ৬ শয্যা বিশিষ্ট অক্সিজেন পার্লার। মঙ্গলবার, বনগাঁ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেন পার্লারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর এস ডি পি ও অশেষ বিক্রম দস্তিদার ও পৌরপিতা শঙ্কর আঢ্য।
বিস্তারিত পড়ুন: বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে চালু হল অক্সিজেন পার্লার, থাকছে বিনামূল্যে ডাক্তারি পরিষেবা, টেলিমেডিসিনের সুবিধা
কলকাতা: আশা জাগিয়ে প্রতিদিনই কমছে রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও ফের একবার বাংলার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তবে দুশ্চিন্তার জায়গা অন্যদিকে। আক্রান্তের হার দ্রুত কমলেও কিছুতেই বাগে আসছে না রাজ্যের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। মঙ্গলবার ফের একবার করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক টেস্টের সংখ্যাও খুব বেশি বাড়েনি।
বিস্তারিত পড়ুন: আশা জাগিয়ে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী বাংলায়, বাগে আনা যাচ্ছে না মৃত্যু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকায় জায়গা না পাওয়ায় ‘কোভ্যাকসিন’ নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের বিদেশ যাত্রা আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে, ‘কোভ্যাকসিন’ উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের দাবি, চলতি বছরেই অনুমোদন দেবে ‘হু’। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অনুমোদন মিলবে বলে আশা সংস্থার কর্ণধারদের।
বিস্তারিত পড়ুন: চলতি বছরেই কোভ্যাকসিনে অনুমোদন দেবে ‘হু’: ভারত বায়োটেক
কলকাতা: মরণোত্তর দেহদান করতেই চেয়েছিলেন বরানগরের সাতান্ন বছরের বাসিন্দা তপনবাবু ওরফে তপন কুমার জানা। কিন্তু বাধ সেধেছিল কোভিড (COVID19)। গত ১৪ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে হয়ে বেলঘড়িয়ার জেনিথ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তপনবাবু। এরপর গত ২৪ মে হাসপাতালেই মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর স্পষ্টতই সম্পূর্ণ দেহদান যে সম্ভব নয়, তা স্পষ্টই ছিল। কিন্তু, কেবল কোভিডে আক্রান্ত রোগীর মতো দাহকার্যের পক্ষপাতী ছিলেন না তপনবাবুর পরিবার। বাবার স্বপ্ন মাথায় নিয়ে তাই তপনবাবুর দেহ অটোপসি (Autopsy) করানোর সিদ্ধান্ত নেন ছেলে তন্ময় জানা। পাশে পেলেন ‘উদয়ের পথে’ (Udayer Pathe) নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে।
বিস্তারিত পড়ুন: আর জি করে আরও এক মৃত কোভিড রোগীর অটোপসি, সৌজন্যে ‘উদয়ের পথে’
ভারতে টিকাকরনের গতি শ্লথ। ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান নেই বলেই এমন অবস্থা। দ্রুত ভ্যাকসিনের জোগান বাড়াতে হবে। এমনটাই দাবি করলেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত মেডিক্যাল অক্সিজেন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য তথা ভাইরোলজিস্ট ড. গঙ্গাদীপ কাং। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে জোগান বাড়াতে হলে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনতে হবে। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন রাশিয়া আর চিন ছাড়া কোথাও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য দিকে, তিনি জানিয়েছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর হারও কমে যাওয়া উচিত। যদি তা না কমে, তাহলে প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে।
দেশে ভ্যাকসিন সঙ্কট, কেন্দ্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত টিকা না মেলার অভিযোগ। এই অবস্থায় বিদেশি নির্মাতাদের দ্বারস্থ হয়েছিল একাধিক রাজ্য সরকার। কিন্তু সরাসরি রাজ্যের হাতে টিকা দিতে নারাজ বিদেশি নির্মাতারা। দিল্লির পর পঞ্জালকেও একই কথা শোনাল ফাইজ়ার। তারা সাফ জানিয়েছে কেন্দ্র ছাড়া পৃথক কোনও রাজ্য সরকারকে সরাসরি টিকা দেবে না তারা।
বিস্তারিত পড়ুন: প্রশংসা জুটছে, মিলছে না টিকা, বিদেশের দ্বারস্থ হয়েও সঙ্কটে রাজ্য সরকার
করোনা আক্রান্তদের বিনামূল্যে কোরোনিল দেবে হরিয়ানা (Haryana) সরকার। বিতর্কিত এই ‘আয়ুর্বেদিক ওষুধ’ দেওয়ার কথা টুইট করে জানিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ। সোমবার সন্ধ্যায় অনিল ভিজ টুইট করার পরে হরিয়ানা সরকারের এই ঘোষণা তুমুল সমালোচিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইট করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ লিখেছেন, “এক লক্ষ পতঞ্জলি করোনিল কিট হরিয়ানার করোনা রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এর অর্ধেক খরচ পতঞ্জলি ও অর্ধেক খরচ হরিয়ানা সরকারের করোনা রিলিফ ফান্ড বহন করবে।”
বিস্তারিত পড়ুন: করোনা রোগীদের রামদেবের ‘ওষুধ’ কোরোনিল দেবে বিজেপি সরকার