নয়া দিল্লি: ৩১ তম দিনে প্রবেশ করল কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest)। বর্তমানে প্রশ্ন একটাই, কৃষকরা কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কিনা। সেই বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার দুপুর দুটোয় ৪০টি কৃষক সংগঠনের নেতারা আলোচনায় বসবেন। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচিও ঠিক করা হবে এই আলোচনা সভাতেই।
বড়দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের নতুন কৃষি আইন নিয়ে আশ্বস্তও করেন। এরপরই আজ নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিল কৃষক সংগঠনগুলি। এর আগে কেন্দ্রের সঙ্গে পাঁচ দফা বৈঠক ব্যর্থ হলেও রবিবার ফের সরকারের তরফে আলোচনার জন্য কৃষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আলোচনার দিনক্ষণ ঠিক করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে কৃষকদের উপরই।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা কৃষকদের সমস্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছে ও ভুয়ো খবর রটাচ্ছে। তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য কৃষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালাচ্ছে।” কৃষকদের নূন্যতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) নিয়ে আশ্বস্তও করেন তিনি। বিরোধীদের অনুরোধ করে বলেন, “যারা আমার বিরোধীতা করছেন, তাদেরও বলছি সরকার কৃষকদের সমস্যা নিয়ে যেকোনও সময়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কৃষকদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, দয়া করে কারোর কথায় ভুলপথে চালিত হবেন না।”
“Today, it has been a month since the farmers have been protesting. The Govt should repeal the three laws. As soon as that happens, we’ll return to our homes,” says a farmer from Punjab, at the designated protest site in Delhi’s Burari
Visuals from Burari ground & Tikri border pic.twitter.com/G41gGMbXMc
— ANI (@ANI) December 26, 2020
আরও পড়ুন: আশার আলো? ভারতে ৬ মাসে প্রথম দৈনিক করোনায় মৃত্যু ৩০০-র কম
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)-ও কৃষকদের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, “নতুন আইনটিকে এক বা দুবছরের জন্য কার্যকর হতে দিন। যদি তা কৃষকদের পক্ষে লাভজনক না হয়, তবে এই আইন প্রত্যাহার করা হবে।”
সরকারের প্রতিশ্রুতির পরে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসলেও কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা এখনও অনড়ই রয়েছেন। কৃষিমন্ত্রকের যুগ্মসচিবের চিঠি পাওয়ার পর কৃষক আন্দোলনের এক নেতা শিব কুমার কাক্কা (Shiv Kumar Kakka) বৃহস্পতিবার বলেন, “নতুন চিঠিটি আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়। ওনারা (কেন্দ্র) এটাই দেখাতে চাইছেন যে,তাঁরা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক। সরকার মোটেও আমাদের দাবি নিয়ে চিন্তিত নয়। এই আলোচনায় আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি রাখতে হবে।”
কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশের বিরোধী নেতারা সরব হয়েছেন। দুদিন আগেই কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)-র নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) কাছে দুই কোটি কৃষকের সই সহ একটি স্মারকলিপি জমা দেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর রাহুল গান্ধী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী কেবল পুঁজিবাদীদের জন্যই আয় করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হয়। দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই।”
আরও পড়ুন: ক্লাস ফাইভ থেকে সিপিএম, এসএফআই করা ২১ বছরের আর্যাই দেশের সর্ব কনিষ্ঠ মেয়র