নয়া দিল্লি: ভিড় বাড়ছে জেলগুলিতে। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের অন্তবর্তী জামিন দেওয়ার রায় দিয়েছিল এলাহবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানাল করোনার মৃত্যু ভয়ের কারণে অন্তবর্তী জামিন দেওয়া যাবে না। প্রত্যেকটি মামলা আলাদাভাবে বিচার করে অন্তবর্তী জামিনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানাল আদালত।
এলাহবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ। সম্প্রতি এই করোনার অজুহাতে প্রতীক জৈন নামে এক অপরাধীকে ২০২২-এর জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন দেওয়া হয়। মোট ১৩০টি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরপরই এলাহবাদ হাইকোর্টের রায়কে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে আবেদনে বলা হয়, এলাহবাদ হাইকোর্টের রায়কে অপব্যবহার করে অনেকেই এ ভাবে মুক্তি পাচ্ছেন। যোগী সরকারের তরফে দাবি, অভিযুক্ত করোনা পজিটিভ নন। শুধুমাত্র জেলে করোনা সংক্রমণ হতে পারে, এই আশঙ্কাটুকু থেকে তাঁকে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার সুযোগ করে দেওয়া হল। এই যুক্তিতে কাউকে জামিন দেওয়া হলে তা এক ভয়ানক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
আরও পড়ুন: বেতন-সহ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, করোনায় মৃত কর্মীর পরিবারের দায়িত্ব নেবে টাটা
এর আগে জেলে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশে বলা হয়, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকতে হবে পুলিশকে। কারণ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় জেলে ভিড় বাড়লে সংক্রমণের ভয় বাড়তে পারে। গত বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সময় যে ভাবে নির্বাচিত বন্দিদের জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, এ বারেও যেন তেমন ব্যবস্থা করা হয়, সেই নির্দেশই দিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া এই ভরা কোটাল’, রাতভর পাহারা দেবেন বলে আশ্বাস মমতার