দেশের অর্থনীতিকে পুনোরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ, আগামিকাল থেকে বাজেট-প্রস্তুতি শুরু নির্মলার

ঋদ্ধীশ দত্ত | Edited By: সুমন মহাপাত্র

Jan 22, 2021 | 7:40 PM

করোনা ও লকডাউনের জেরে ধুঁকতে থাকা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পুনোরুদ্ধার করতে সরকার কী পদক্ষেপ করে, সেদিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশের। ফলে আসন্ন বছরের বাজেট নানা আঙ্গিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে চলেছে।

দেশের অর্থনীতিকে পুনোরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ, আগামিকাল থেকে বাজেট-প্রস্তুতি শুরু নির্মলার
Budget 2021: ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় মোদী সরকারের দ্বিতীয় অর্থবর্ষের বাজেট (Budget) প্রস্তুতি পর্ব আগামিকাল থেকেই শুরু করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। সূত্রের খবর, ১৪ ডিসেম্বর তিনি দেশের শীর্ষ শিল্পপতিদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করতে একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন। একই দিনে দেশের আলাদা-আলাদা ক্ষেত্রে অংশীদারি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও আলোচনায় অংশ নেবেন তিনি। বর্তমান বাজেটের সুবিধা-অসুবিধা ও পরবর্তী বাজেটের রূপরেখা সম্পর্কে আলোচনা হবে এই বৈঠকগুলিতে। জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নিজেই।

সূত্রের খবর, আগামী বছর ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে মোদী ২.০ সরকারের দ্বিতীয় বাজেট পেশ করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। চলতি বছরে করোনা ও লকডাউনের জেরে ধুঁকতে থাকা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পুনোরুদ্ধার করতে সরকার কী পদক্ষেপ করে, সেদিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশের। ফলে আসন্ন বছরের বাজেট নানা আঙ্গিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে চলেছে।

প্রত্যেক বছরই বাজেট তৈরির প্রস্তুতি নিয়ে মাসখানেক আগে থেকেই দেশের শিল্পপতি মহল-সহ অংশীদার গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে বৈঠক করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। এবারও সেই প্রথার নড়চড় হয়নি। তবে অন্যান্য বছর কৃষক সংগঠনগুলিও এই বৈঠকে অংশ নিয়ে থাকে। কিন্তু, কৃষক আন্দোলনের জেরে ও কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন: ক্রমশ ঝাঁজ বাড়ছে আন্দোলনের! দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধ কৃষকদের

বাজেটের আগে একাধিক মহলের সঙ্গে শলা-পরামর্শ সেরে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা হয়। তবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চাপের মুখে থাকা সীতারমণের জন্য ২০২১ সালের বাজেট কার্যত ‘অগ্নিপরীক্ষার’ সমান হতে চলেছে বলে অভিমত অর্থনীতিবিদদের। এর কারণ প্রধানত দুটি।

প্রথমত, মাইনাসে থাকা জিডিপি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে নির্মলার সামনে। দ্বিতীয়ত, দেশজুড়ে ক্রমশ বড় আকার ধারণ করতে থাকা কৃষক আন্দোলনের মধ্যেও কৃষি ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করা। কেননা, সরকার যদি কৃষক আন্দোলন স্তিমিত না করতে পারে, তবে অংশীদার ও বিনিয়োগকারীরা ক্রমশ আগ্রহ হারাতে শুরু করবেন। তখন চাপ অনেকটাই বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর।

আরও পড়ুন: ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে কার্গিল-‘নায়ক’ বিরাট!

Next Article