দাউদাউ করে জ্বলছে কার্ডিওলজি বিভাগ, তড়িঘড়ি সরানো হল প্রায় ১৫০ রোগীকে

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 28, 2021 | 10:57 AM

হাসপাতালের দাবি, আজ সকাল আটটা নাগাদ আচমকাই স্টোর রুম (Store Room) থেকে আগুন(Fire)-র শিখা বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

দাউদাউ করে জ্বলছে কার্ডিওলজি বিভাগ, তড়িঘড়ি সরানো হল প্রায় ১৫০ রোগীকে
রোগীদের বের করে আনছেন দমকলকর্মীরা। ছবি:ANI

Follow Us

লখনউ: সকালেই বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের মুখে পড়ল কানপুরের এলপিএস ইন্সটিটিউট অব কার্ডিওলজি (LPS Institute of Cardiology)। রবিবার সকাল আটটা নাগাদ আচমকাই আগুন লাগে এই হাসপাতালে। সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কমপক্ষে ১৪৬ জন। আগুনের আঁচ টের পেতেই তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে বের করে আনা হয় রোগীদের। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র কানপুরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতাল গনেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেডিক্যাল কলেজেরই একটি অংশ এলপিএস ইন্সটিটিউট অব কার্ডিওলজি। এদিন সকাল আটটা নাগাদ আচমকাই হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদেরও একে একে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

আরও পড়ুন: রাত ৮টায় বন্ধ রেস্তরাঁ-শপিং মল, নিয়ম ভাঙলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা, করোনা নিয়ন্ত্রণে কড়া ঠাকরে রাজ্য

কানপুরের পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ বলেন, “বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আগুন লাগতেই ১৪৬ জন ভর্তি থাকা রোগীকে বের করে আসা হয়। নয়জন রোগী আইসিইউতে ভর্তি থাকায় তাঁদের বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত এবং চিকিৎসকদের তত্বাবধানে রয়েছেন। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।”

হাসপাতালের দাবি, আচমকাই স্টোর রুম থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালের বাকি অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এদিকে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কানপুরে কার্ডিওলজি বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত যাতে সমস্ত রোগীকে সুরক্ষিতভাবে সরিয়ে আনা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকেও এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য সেক্রেটারিকেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News: ৩০০ পার দৈনিক মৃতের সংখ্যা, সংক্রমণের নতুন মাইল ফলক ছুঁল দেশ

Next Article