ভুবনেশ্বর: ফের বন্যা ওড়িশায়। প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওড়িশায়। জলমগ্ন কটক সহ বিভিন্ন এলাকা, লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। আজ, শুক্রবার ও শনিবার ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। এরফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। এর জেরেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ওড়িশা ও প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। আজ থেকে নিম্নচাপের শক্তি বাড়ায় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে আগামী দুইদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূল, উত্তপ ওড়িশা, ঝারখণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ের দিকে অগ্রসর হবে।
শুক্রবার সকাল থেকেই কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে খুরদা, পুরী সহ সাতটি জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে কটক, জগৎসিংপুর ও সম্বলপুর সহ ১৪টি জেলায়। শনিবারও ওড়িশার সাত-আটটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে ওড়িশার একাধিক জায়গাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। খুরদা, পুরী, কটক, জগতসিংহপুর ও কেন্দাপাড়ায় ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে বন্যা। বেশ কয়েকটি এলাকায় ১০ ফুট অবধি জল জমে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। বন্যা দুর্গতদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবারই আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতির উপরে নজর চালান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়া ও পুরী আকাশপথে ঘুরে দেখেন তিনি। আগামী ১৫ দিন এই জেলায় সমস্ত গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।