Assam Flood: লাগাতার বৃষ্টিতে ডুবল ১৫০০-রও বেশি গ্রাম, বন্যা-ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

Assam Flood: জলস্তর বাড়তেই বন্যা প্লাবিত এলাকার মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে। যাদের বাড়ি প্লাবিত হয়েছে, তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Assam Flood: লাগাতার বৃষ্টিতে ডুবল ১৫০০-রও বেশি গ্রাম, বন্যা-ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ফাইল ছবি : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2022 | 9:33 AM

গুয়াহাটি: প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল অসম। মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থিতি। বর্ষা প্রবেশ করতেই ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে অসমে। ধীরে ধীরে আরও খারাপ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গা ধস নেমেছে। কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ২৫টি জেলা মিলিয়ে কমপক্ষে ১১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নতুন করে বন্যা শুরু হওয়ায় সদ্য গঠিত বাজালি জেলা সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলস্তর বেড়ে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্র ও গৈরাঙ্গ নদীতে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে এই নদীগুলি। বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে ১৯৮২.৮০ হেক্টর চাষের জমি। রাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ১৫১০টি গ্রাম জলের নীচে জলে গিয়েছে।

জলস্তর বাড়তেই বন্যা প্লাবিত এলাকার মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে। যাদের বাড়ি প্লাবিত হয়েছে, তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বন্যার জেরে গুয়াহাটি সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বিগত তিনদিন ধরেই শহরজুড়ে জল জমে রয়েছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের জেরে তিন জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। বকসা জেলাতেও বুধবার ধস নেমেছে। দিহিং নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় একটি ব্রিজও ভেঙে গিয়েছে। কমপক্ষে ৬টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। চারটি ট্রেন আংশিক বাতিল করে।

বন্যার খবর পেয়েই বলিউড অভিনেতা অর্জুন কপূর ও ডিরেক্টর রোহিত শেঠ্ঠী মুখ্য়মন্ত্রী ত্রাণ শিবিরে ৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। অসমের পাশাপাশি মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশেও বন্যা শুরু হয়েছে। মেঘালয়ে কমপক্ষে ৫ জন ধস, হড়পা বান ও বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন। মেঘালয়তে যে চারটি অঞ্চল বন্যায় সবথেকে বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে, তার দিকে নজরদারির জন্য চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামার জেরে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মেঘালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।