নয়াদিল্লি: বিজেপিতে যোগ দিলেন অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আগামী বছর অন্ধ্রে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের এই প্রাক্তন নেতার বিজেপিতে যোগদানে অন্ধ্র প্রদেশে শক্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। ২০২৩ সালের মার্চে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেস ছাড়েন কিরণ রেড্ডি। এর পরই পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই কেরলের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস। তার পর দিনই অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রাক্তন দল কংগ্রেস সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কংগ্রেস ছাড়বে হবে এ কথা কখনও ভাবেননি তিনি।
২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ রেড্ডি। ২০১৪ সালে অন্ধ্র ভেঙে তেলঙ্গানা গঠিত হয়। সে সময় কংগ্রেস ছেড়েছিলেন কিরণ। এর পর ‘জয় সামাইকান্ধারা’ নামে একটি দল গঠন করেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ভোটে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয় এই দল। ২০১৮ সালে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। যদিও তার পর থেকে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন কিরণ। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে গত মাসে কংগ্রেস ত্যাগ করেন।
অন্ধ্র প্রদেশে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। তাঁদের সঙ্গে লড়াই মূলত তেলুগু দেশম পার্টির। বিজেপি সে রাজ্যে অনেকটাই দুর্বল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যেও নিজেদের শক্তি বাড়ানোয় সচেষ্ট মোদী-শাহরা। কিরণের অন্তর্ভুক্তি তাতে সুবিধা দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমনকি কিরণ রেড্ডিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে পারে বিজেপি।
দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে যোগদান অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কিরণ রেড্ডি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। পাশাপাশি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশেও তোপ দেগে বলেছেন, “কখনও ভাবিনি কংগ্রেস ছাড়তে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব কঠোর পরিশ্রম করতে চায় না। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে হাইকমান্ড কোনও আলোচনা করে না। মনে করে, তাঁরা সব সময় ঠিক কাজ করছেন। সব রাজ্যেই কংগ্রেস ভেঙে পড়ছে। কিন্তু হাইকমান্ড কোনও মতামত নেয় না। যোগাযোগ রাখে না।”