দিল্লি: বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তাঁর বক্তব্য, কৃষকদের জন্য রাহুলের এই দাবি কুমিরের কান্নার মতো। এটা সম্পূর্ণ ছলনা। সাধারণ মানুষ বা কৃষক কেউ এই সব কথা বিশ্বাস করবে না।
রাহুল গান্ধীকে জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০১৩ সালে ইউপিএ জমানায় কৃষকদের ঠিক কী অবস্থান ছিল। মন্ত্রীর দাবি, শরদ পওয়ার কৃষি মন্ত্রী থাকাকালীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার ‘স্বামীনাথন কমিটির সুপারিস’ গ্রহণ করতে চায়নি। একই সঙ্গে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, ইউপিএ সরকার সেই সময়ে কৃষকদের ৫০ শতাংশ নূন্যতম সহায়ক মূল্য দিতে রাজি ছিল না।
এ দিন, সংসদে রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তব্যে দাবি করেছেন, কৃষকদের নূন্যতম সহায়ক মূল্য দেওয়া উচিত। কিষাণ রেড্ডির বক্তব্য, ২০০৪ সালে অধ্যাপক স্বামীনাথনের তত্ত্বাবধানে ‘ন্যাশানাল কমিশন অফ ফার্মার’ গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ ছিল পঞ্চাশ শতাংশ এমএসপি দিতে হবে। মন্ত্রীর প্রশ্ন, “সেই সময় ইউপিএ সরকার কেন ওই সুপারিশকে মান্যতা দিল না?” তিনি এও উল্লেখ করেছেন, “২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ইউপিএ-র নেতৃত্বাধীন সরকার স্বীকার করেছিল যে স্বামীনাথন কমিটি সুপারিশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ৫০ শতাংশ এমএসপি দেওয়ার কথা মানতে চায়নি ইউপিএ।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ওই স্বামীনাথন কমিটিকে মান্যতা দিয়েছেন। মন্ত্রী এও উল্লেখ করেছেন, নরেন্দ্র মোদী শুধু ৫০ শতাংশ এমএসপি দেওয়ার কথাই বলেননি, এই এমএসপি নির্দিষ্ট সময়ে বর্ধিত করা হবে। এর পাশাপাশি মন্ত্রী আরও প্রশ্ন তুলেছেন, রাহুল গান্ধী যা চাইছেন তা তেলঙ্গানা, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশের মতো কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন কার্যকর করা হচ্ছে না। তেলঙ্গানায় কৃষকদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলিই বা কার্যকর করা হল না কেন? কিষাণ রেড্ডি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, তেলঙ্গানায় কংগ্রেস তাদের ইস্তেহারে কৃষক ও ভাগচাষিদের পনেরো হাজার টাকা এবং কৃষিক্ষেত্রে কর্মীদের ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছিল। রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বার্তা, কংগ্রেস নেতার ওই প্রতিশ্রুতি পূরণে মন দেওয়া উচিত।