নয়া দিল্লি : দেশে ওমিক্রন (Omicron Variant) দাঁত নখ বের করতেই সতর্ক কেন্দ্র। তৃতীয় ডোজ় (Third dose of COVID 19) নিয়ে যে দীর্ঘ চর্চা চলছিল এতদিন ধরে, এবার সেই জল্পনায় ইতি পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ১০ জানুয়ারি থেকে তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হবে। যদিও তিনি এটিকে বুস্টার ডোজ় (Booster dose) না বলে, প্রিকশন ডোজ় (Precaution dose) বলছেন। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ডোজ় এবং তৃতীয় ডোজ় অর্থাৎ, প্রিকশন ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান হতে চলেছে নয় থেকে ১২ মাস। যদিও এই বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
বর্তমানে ভারতে করোনা টিকাকরণ অভিযানে ব্যবহৃত কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের টিকাগুলির দ্বিতীয় ডোজ় এবং তৃতীয় ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান কতদিন থাকবে, তা নিয়ে এখনও কাজ চলছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা করেছেন, ১৫-১৮ বছর বয়সিদের জন্য করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে ৩ জানুয়ারি থেকে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য “প্রিকশন ডোজ়” দেওয়া হবে ১০ জানুয়ারি থেকে।
ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দেশে ঢুকে পড়ার পর থেকেই দিল্লি, মুম্বই সহ বিভিন্ন এলাকায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকরা, যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরও প্রিকশন ডোজ় দেওয়া হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া প্রয়োজন।
ঘটনা পরম্পরা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্র মারফত খবর, “কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় এবং প্রিকশন ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান সম্ভবত নয় থেকে ১২ মাস পর্যন্ত হতে চলেছে। ইমিউনাইজ়েশন বিভাগ এবং টিকাকরণ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গোষ্ঠী এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করছে।”
উল্লেখ্য, রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “আমাদের দেশ আজ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র জনশক্তির মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। দেশে টিকাকরণের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতেই আমাদের দেশের গবেষকদের উদ্বাধনী শক্তি ও সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ফুটে উঠছে। করোনাকালে একটি পরিবার হিসাবে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, ওমিক্রন প্রবেশ করেছে। এই সময়ে আমাদের অতি সতর্ক থাকতে হবে এবং সর্বক্ষণ করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। নতুন বছরের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে আমাদের শপথ নিতে হবে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের প্রচেষ্টা যাতে আরও বৃদ্ধি পায়।”