লখনউ: উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট (UP Assembly Election 2022) হবে কি না, তা নিয়ে এক অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তবে প্রচারে কোনও খামতি রাখছে না রাজনৈতিক দলগুলি। যোগীরাজ্যের দখল নিতে এবার কংগ্রেসের (Congress) নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। মহিলা ভোটারদের কাছে টানতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে যেটি সবথেকে বেশি প্রচার পেয়েছে, ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’। রবিবাসরীয় সকালে প্রিয়ঙ্কা এক ম্যারাথনের ডাক দিয়েছিলেন, এই রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেব। আর তাতে জেলা প্রশাসনকে অগ্রাহ্য করে ম্যারাথনে অংশ নিতে হাজার হাজার মহিলা হাজির হন।
টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে কংগ্রেসের তরফে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের ডাকা ম্যারাথনে ভিড় জমিয়েছেন কয়েক হাজার মহিলা। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। কিন্তু অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও লখনউ এবং ঝাঁসিতে বিশাল সংখ্যক মহিলাদের সমাবেশ দেখা গিয়েছে রবিবার সকালে। ঝাঁসিতে মহিলাদের পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মহিলা ফিরে আসতে অস্বীকার করেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাদের আর অগ্রসর হতে দেয়নি।
‘लड़की हूं, लड़ सकती हूं’ मैराथन में बेटियां दौड़ रही हैं, आगे बढ़ रही हैं।
अब बेटियां डरेंगी नहीं लड़ेंगी, क्योंकि ‘लड़की हूं, लड़ सकती हूं’ का नारा बेटियों को हिम्मत दे रहा है। pic.twitter.com/SVzqY2IJzE
— Congress (@INCIndia) December 26, 2021
টুইটারে কংগ্রেসের তরফে যে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা বলছেন, “যখন লাখ লাখ পড়ুয়াকে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের সময় কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছিল ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছিল, তখন তো সরকারের কোনও সমস্যা ছিল না। তাহলে এখন কেন?”
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের তরফে যে দুই ম্যারাথনের ডাক দেওয়া হয়েছিল, উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম তিন স্থানাধিকারীর জন্য একটি করে স্কুটি পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীরা। শুধু তাই নয়, যারা ম্যারাথনে চতুর্থ স্থান থেকে ২৫ তম স্থানে আসবেন, তাদের একটি করে স্মার্টফোন পুরস্কার দেওয়া হবে। পরবর্তী ১০০ জনকে দেওয়া হবে ফিটনেস ব্যান্ড, এবং তারও পরবর্তী এক হাজার জন মহিলাকে একটি করে পদক দেওয়া হবে দলের তরফে জানানো হয়েছিল। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কোনও প্রবেশ মূল্য ছিল না।
এর আগে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের সময়েও মহিলাদের জন্য ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। লখনউতে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়ন একমাত্র তখনই সম্ভব, যখন মহিলারা সম্মান পাবেন এবং যখন তাঁরা সমান অধিকার পাবেন। কংগ্রেস মহিলাদের যথাযথ সম্মান এবং সমান অধিকার দিতে বদ্ধ পরিকর।”
প্রিয়ঙ্কা ইস্তাহারের কিছুটা অংশ তুলে ধরে বলেছিলেন, “আমার উত্তর প্রদেশের প্রত্যেক মেয়ের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেব। তাঁদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেব। শিক্ষার প্রয়োজনে ইলেক্ট্রিক স্কুটিও দেওয়া হবে মেয়েদের। উত্তর প্রদেশের মেয়েদের দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে কংগ্রেস। কংগ্রেস তাঁদের কাচে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেবে।”