IIT-র প্রবেশিকা পাশ করেও লুকিয়ে গিয়েছিলেন বাড়িতে, আর আজ তাঁর হাতেই সোনার পদক

NDA: ভারতের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে সুযোগ পাওয়ার জন্য দিন-রাত এক করে পড়াশোনা করেন পড়ুয়ারা, সেখানে অনায়াসে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন গৌরব।

IIT-র প্রবেশিকা পাশ করেও লুকিয়ে গিয়েছিলেন বাড়িতে, আর আজ তাঁর হাতেই সোনার পদক
পরিবারের সঙ্গে গৌরব যাদব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 7:26 AM

নয়া দিল্লি: স্বপ্ন পূরণ করার জন্য অনেক দূর যেতে পারেন কেউ কেউ। এমনকী স্বপ্ন আর সাফল্যের পথও অনেক সময় আলাদা হয়ে যায়। কারও কাছে যেটা চূড়ান্ত সাফল্য বলে মনে হয়, অন্য কারও কাছে সেটা স্বপ্ন নাও হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয়েছে রাজস্থানের গৌরব যাদবের কাছে। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য আইআইটি প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হয়েও বাবা-মায়ের কাছে লুকিয়ে যান তিনি। আর আজ সেক্ষেত্রেও সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন তিনি।

রাজস্থানের আলোয়ারের বাসিন্দা গৌরব যাদব। তিনি কৃষক পরিবারের সন্তান। বরাবরের মেধাবী ছাত্র গৌরব বাবা-মায়ের কথা রাখতেই আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিলেন। ভারতের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে সুযোগ পাওয়ার জন্য দিন-রাত এক করে পড়াশোনা করেন পড়ুয়ারা, সেখানে অনায়াসে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন গৌরব। পাশ করেছিলেন প্রবেশিকায়। কিন্তু বাড়িতে বললে আইআইটি-তেই পড়াশোনা করতে হত, খাকি পোশাকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। তাই উত্তীর্ণ হওয়ার কথা লুকিয়েই গিয়েছিলেন বাড়িতে। মিথ্যা কথা বলেছিলেন।

এরপর দিল্লিতে একটি কলেজে ভর্তি হন তিনি। আর পাশাপাশি ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্য়াকাডেমিতে পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এরপর সেই প্রতিষ্ঠানে পাশ করে সুযোগ পান গৌরব যাদব। গত বুধবার সেই প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের কারণে প্রেসিডেন্ট মেডাল পেয়েছিলেন তিনি।

হরিয়ানার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন গৌরব। দশম শ্রেণিতে এ প্লাস পেয়েছিলেন, আর দ্বাদশে পেয়েছিলেন ৯৬ শতাংশ নম্বর। তাঁর ভাই বিনীতও সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। বিনীত জানান, আইআইটি পাশ না করার কথাও বিশ্বাস করেছিলেন তাঁরা। এনডিএ-তে সুযোগ পাওয়ার পরই পরিবারকে সত্যি কথা বলেছিলেন তিনি। তবে এনডিএ-তে সুযোগ পাওয়া সহজ ছিল না। দুবার পরীক্ষায় পাশ করলেও এসএসবি বা সিলেকশন বোর্ডের পাশ করতে পারছিলেন না তিনি। তৃতীয়বার সুযোগ পান।

তবে স্বর্ণপদক পাওয়ার কথা কল্পনা করেননি তিনি। দিনের পর দিন কঠিন পরিশ্রম করেছেন তিনি। তবে আইআইটি নিয়ে আর কোনও আফশোস নেই বাবা-মায়ের। তাঁরা বলেন, ‘ছেলেকে প্যারেডে নেতৃত্ব দিতে দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল।’