দেশ: নয়া রেকর্ড গড়লেন সিআইএসএফ অফিসার গীতা সামোতা (Geeta Samota)। আফ্রিকার উচ্চতম মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর শৃঙ্গ পদার্পণ করলেন অসমসাহসী এই অফিসার। শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে নিজেই এই ঘোষণা করলেন তিনি।
টুইটে গীতা লেখেন, নিজের ওপর আস্থা রাখো আর দুনিয়ায় নিজের ছাপ রেখে যাও। এর পর হ্যাশট্যাগ উইম্যান লিখে গীতা আফ্রিকার ছাদে পা রাখার কথা ঘোষণা করেন। টুইটের শেষে ভারতীয় এবং সিআইএসএফ মহিলা হিসাবে গর্বিত উল্লেখ করে জয় হিন্দ লেখেন গীতা।
উল্লেখ্য, এর আগেই সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের (CISF) প্রথম অফিসার হিসাবে মাউন্ট এলব্রুজ় জয় করেছেন গীতা সামোতা। ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের পর এবার ভারতীয় হিসাবে নয়া রেকর্ড গড়লেন গীতা। জয় করলেন আফ্রিকার উচ্চতম শৃঙ্গ।
Believe in yourself and let the world mark your achievements. Power of #women illuminated on “The Roof of Africa” @mountkilimanjaro ???.Proud Indian and CISF Girl??✈️Jai Hind!!!! #AzadiKaAmritMahotsav#IndiaAt75@CISFHQrs @PMOIndia @RajCMO @KirenRijiju @ianuragthakur @SachinPilot pic.twitter.com/d3wrK8HPt0
— Geeta Samota (@geeta_samota) September 11, 2021
গত অগস্ট মাসেই রাশিয়ার মাউন্ট এলব্রোজ়ে পা রাখেন গীতা। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি দ্রুত একইসঙ্গে মাউন্ট এলব্রোজ় এবং মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করলেন। রাশিয়ার ১৮ হাজার ৫১০ ফুট শৃঙ্গ জয়ের পর আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ জয় করলেন তিনি।
কে এই গীতা সামোতা?
পাহাড় জয় তাঁর নেশা। তবে পেশায় তিনি সিআইএসএফ অফিসার। ২০১১ সালে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সে (CISF) যোগ দেন গীতা। মাউন্ট সতোপনাথ (৭,০২৫ মিটার, উত্তরাখণ্ড), মাউন্ট লোবুচে (নেপাল) আগেই জয় করেছেন তিনি। তাছাড়া সিএপিএফ (CAPF) -এর মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এবার তাঁর নিজস্ব এবং ভারতীয় হিসাবেও নয়া রেকর্ড গড়লেন গীতা।
তাঁর এই পর্বত-জয়ের খবরে তিননি টুইটারে ট্যাগ করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ক্রীড়া মন্ত্রী কিরণ রিজ্জু, শচীন পাইলট প্রমুখকে। তাঁর এই জয়ের খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশিষ্টরা।
উল্লেখ্য, মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো বা “আফ্রিকার ছাদ” বা “দ্য রুফটপ অফ আফ্রিকা” হল একটি যৌগিক সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। যা পূর্ব আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। তুষারময় শিখর সহ এই পর্বতটি সাভানাকে আয়ত্ত করে আছে। এটি “আফ্রিকার সাতটি প্রাকৃতিক বিস্ময়”-এর এক অন্যতম হিসাবে গণ্য হয়। কিলিমাঞ্জারো জাতীয় উদ্যান, আগ্নেয়গিরি স্তূপপর্বতটির সংরক্ষণ ও প্রতিরক্ষা করে। পর্বতটি বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদকুল ও প্রাণিকুল সহ পরিপূর্ণ। বহু বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এই উদ্যানে রয়েছে।
কিলিমাঞ্জারো নামটি আবার রহস্যে মোড়া। নাম সম্পর্কে সন্দেহাতীত ধারণা বহু জল্পনার জন্ম দিয়েছে। যেমন, মাউন্টেন অফ অফ গ্রেটনেস, আলোর পর্বত বা মাউন্টেন অফ লাইট বা ক্যারাভেনের পর্বত (মাউন্টেন অফ ক্যারাভেন) বলা হয়। তবে, চাগা গোষ্ঠীর স্থানীয় মানুষেরা এই শৃঙ্গটির কোনও নাম রাখেনি। প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বিখ্যাত গল্প ‘দ্য স্নোজ অফ কিলিমাঞ্জারো’ এই অঞ্চলের পটভূমিতেই রচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে মিলবে জীবনদায়ী ওষুধ! উদ্য়োগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার