Prashant Kishor: ‘লালু-নীতীশের হাত থেকে মুক্তি…’, চরম হুঁশিয়ারি পিকের

Aug 04, 2024 | 4:55 PM

Prashant Kishor: আগেই জানা গিয়েছে, ২ অক্টোবর, মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতেই তাঁর জন সুরাজ অভিযান একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে। তা না হয় হল, কিন্তু তাঁর দলের অ্যাজেন্ডা কী? কোন লক্ষ্যে লড়বেন পিকে? রবিবার (৪ অগস্ট), সেটাই খোলসা করলেন প্রাক্তন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। কী বললেন তিনি?

Prashant Kishor: লালু-নীতীশের হাত থেকে মুক্তি..., চরম হুঁশিয়ারি পিকের
নীতীশ কুমার এবং লালুকে চরম হুঁশিয়ারি পিকের
Image Credit source: ANI

Follow Us

পটনা: আর ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে লড়বেন না। এবার, সরাসরি নিজের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে নির্বাচনী রাজনীতির ময়দানে নামছেন প্রাক্তন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। আগেই জানা গিয়েছে, ২ অক্টোবর, মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতেই তাঁর জন সুরাজ অভিযান একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে। তা না হয় হল, কিন্তু তাঁর দলের অ্যাজেন্ডা কী? কোন লক্ষ্যে লড়বেন পিকে? রবিবার (৪ অগস্ট), প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, জন সুরজ দলের প্রাথমিক অ্যাজেন্ডা হবে, বিহার থেকে বিহারের মানুষদের বাইরে কাজ করতে যাওয়া বন্ধ করা। তারা যাতে রাজ্যেই কাজ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে বিহারকে জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার এবং আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের হাত থেকে মুক্ত করবে তাঁর দল বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

এদিন, প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ২ অক্টোবর তাঁর দলের পথ চলার শুরু উপলক্ষ্যে, বিহারের প্রায় এক কোটি মানুষ পটনায় জড়ো হবেন। তাঁরা সেখানে তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন বলে দাবি করেছেন পিকে। তিনি বলেছেন, “প্রশান্ত কিশোর ২ অক্টোবর কোনও রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না। বিহারের এক কোটি মানুষ সেখানে একত্রিত হবেন এবং নীতীশ ও লালুর হাত থেকে পরিত্রাণ পেয়ে এবং দেশান্তর বন্ধ করে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত গঠনের জন্য একটি দল গঠন করবেন। আগে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের কীভাবে নির্বাচনে জিততে হয়, দল গঠন করতে হয় এবং প্রচারে সহায়তা করতাম। এখন আমি বিহারের জনগণকে পরামর্শ দেব।”

প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ্যাক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই সংস্থা এখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের পরামর্শ দিয়ে থাকে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের সফল নকশা তৈরি করে, প্রথম খ্যাতির আলোয় এসেছিলেন পিকে। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নীতীশ কুমারের পক্ষে কাজ করেছিলেন। তার বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ হয়ে ২০১৮ সালে তাঁকে জেডিইউ দলের সব সভাপতি করেছিলেন নীতীশ কুমার। তবে, দুই বছরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

তারপর থেকে তিনি আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতার সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিততে সাহায্য করেছিলেন। এরপরই, প্রশান্ত কিশোর রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ভূমিকা ছেড়ে দেন। তারপর থেকে তাঁকে বিহারের গ্রামে গ্রামে জন সুরজ যাত্রা করতে দেখা গিয়েছে। বিহারের মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করাটাই ছিল এই যাত্রার লক্ষ্য। এবার সেই যাত্রা একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে চলেছে।

Next Article