Ghost Tourism: ভারতে বাড়ছে ঘোস্ট ট্যুরিজমের ঝোঁক? কী এই জিনিস?
Ghost Tourism: বিদেশে ওয়াশিংটন, রোম, প্যারিসের মতো নানা শহরে ঘোস্ট ট্যুরিজমের চল আছে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাণিজ্যিকভাবে ঘোস্ট ট্যুরিজম শুরু হয়। পোড়ো বাড়ি। প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র। ফাঁকা দুর্গ। কোনও পরিত্যক্ত এলাকা বা যুদ্ধক্ষেত্র। এসবই হয়ে ওঠে জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট।
ওয়েনাড়: কিছুদিন আগেই কেরলের ওয়েনাড়ে ধস নেমে শেষ হয়ে যায় একটা গোটা জনপদ। উদ্ধারের কাজ যখন সবে শুরু হয়েছে তখন সেখানে বাইরে থেকে আসা মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন। কেউ ধ্বংসের ছবি তুলতে চান। কারও আবার ইচ্ছা রিল বানাবেন। কেরল পুলিশ গোড়াতেই কড়া হাতে এসব বন্ধ করে দেয়। কারণ উটকো লোকজনের ভিড় বাড়লে রেসকিউ অপারেশনই ঠিকভাবে করা যাবে না। কোথাও কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা খুব বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই সেসব দেখার জন্য এই যে সেখানে যাওয়ার প্রবণতা, একে বলা হয় ডার্ক ট্যুরিজম। যেটা বহুক্ষেত্রেই বাঞ্ছনীয় নয়। এরকমই ইদানিং একটা অন্য ধরনের ট্যুরিজম ট্রেন্ড হল ঘোস্ট ট্যুরিজম।
বিদেশে ওয়াশিংটন, রোম, প্যারিসের মতো নানা শহরে ঘোস্ট ট্যুরিজমের চল আছে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাণিজ্যিকভাবে ঘোস্ট ট্যুরিজম শুরু হয়। পোড়ো বাড়ি। প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র। ফাঁকা দুর্গ। কোনও পরিত্যক্ত এলাকা বা যুদ্ধক্ষেত্র। এসবই হয়ে ওঠে জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। এখন আমাদের দেশেও এই ঘোস্ট ট্যুরিজম বা ভূত পর্যটনের প্রবণতা বেড়েছে। খুব পরিচিত একটা ট্র্যাভেল ওয়েবসাইট, যারা ট্রেন-প্লেন-হোটেল বুকিং করে। তাদের ব্লগেও দেখলাম হন্টেড প্লেস বলে পরিচিত দেশের বিভিন্ন সব জায়গার কথা ছবি-সহ ফলাও করে লেখা রয়েছে।
ইন্টারনেটে সার্চ করলে আমাদের এই কলকাতা শহরেও ঘোস্ট ট্যুরিজমের খোঁজ পেয়ে যাবেন। ভূত আছে কী নেই, সেই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, আলাপ-আলোচনার কোনওদিনই শেষ নেই। একদল বলেন ভূত আছে, আরেকদল বলেন ভূত নেই। এই তর্ক চলতেই থাকে! তবে এই ভারতে সত্যিই এমন বেশকিছু ভুতুড়ে জায়গা আছে, যেখানে গেলে আপনি যত বড় ভূতে অবিশ্বাসীই হোন না কেন, গা ছমছম করে উঠবেই।