Mamata Banerjee: ‘সোমবার ৫টায় নবান্নে বসব, পাঁচটা মানে পাঁচটাই…’, অনশনরত ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, তিনি সব দাবিই মেনে নিয়েছেন। পুলিশ কমিশনারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই অনশনের পথ থেকে সরে আসার আর্জি জানান তিনি।

Mamata Banerjee: 'সোমবার ৫টায় নবান্নে বসব, পাঁচটা মানে পাঁচটাই...', অনশনরত ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2024 | 3:10 PM

কলকাতা: অনশনরত ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়ার পর শনিবার দুপুরে অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। এরপর মুখ্যসচিবের ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনশন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান তিনি। স্পিকারে সেই ফোনবার্তা শোনানো হয় চিকিৎসকদের। আগামী সোমবার তাঁদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসতে চান মমতা। ওইদিন বিকেল ৫টায় সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা চিকিৎসকদের বলেন, ‘পায়ে ধরে অনুরোধ করছি। অনশন তুলুন।’ সব দাবি যে ইতিমধ্যেই মেনে নেওয়া হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘আমি দিদি হিসেবে বলছি। আন্দোলন থেকে সরে এস। কাজে যোগ দাও।’ ফোনে ডাক্তারদের ১০ দফা দাবিও এদিন শোনেন তিনি।

জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার ফোনে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, “আপনি যে সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলছেন, সেগুলি লিখিতভাবে জানান। একটা ভুল ধারনা তৈরি  হয়েছে যে, শুধুই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরা অনশন করছি, এমনটা নয়।”

তবে মমতা ফোনে কথা বলা সত্ত্বেও অনশন মঞ্চ থেকে বারবার মুখ্যমন্ত্রীর আসার দাবি উঠতে থাকে। চিকিৎসকরা তাঁর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে চান। মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে রাজি হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি আগামী মঙ্গলবার সময় দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি অনশনরত চিকিৎসকরা। পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর নিজের কিছু কর্মসূচি বাতিল করে তিনি আগামী সোমবার নবান্নে বৈঠকে বসবেন। বিকেল ৫টায় সময় দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেন, ‘পাঁচটা মানে কিন্তু পাঁচটাই। আমাকে ২-৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখবেন না। আমার অনেক কাজ আছে।’

দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দ সহ একাধিক চিকিৎসক এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। মমতা ১০ দফা দাবি জানতে চান। একে একে সব দাবির কথা বলেন তাঁরা।