নয়া দিল্লি: ২০০২ সালের গুজরাটের গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৮ জনের জামিনের আবেদন মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আরও চার আসামির আবেদন বিবেচনা করতে অস্বীকার করেছে আদালত। জামিন পাওয়া আটজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। গুজরাট হাইকোর্টও তাদের সাজা বহাল রেখেছিল। কিন্তু, সতেরো বছরের উপর তাঁরা জেলে আছেন, এই বিবেচনাতেই তাদের জামিন দিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চ। তবে, দায়রা আদালতের দেওয়া শর্ত তাদের মানতে হবে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি, আদালত তাদের জামিনের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, তাদের বয়স এবং কারাগারে থাকার সময়-সহ বিশদ তথ্য চেয়েছিল।
এদিন আদালতে গুজরাট সরকারের পক্ষে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতে বলেন, “এই ঘটনায় তাদের ভূমিকার জন্য শুধুমাত্র ৪ জনকে জামিন দেওয়া নিয়ে আমার সমস্যা আছে। তাদের একজনের কাছ থেকে একটি লোহার পাইপ উদ্ধার হয়েছে। আরেকজনের কাছ থেকে একটি কাস্তে। আরেকজন পেট্রোল কিনেছিল, জমিয়ে রেখেছিল এবং এনেছিল। ওই পোট্রোল আগুন লাগাতে ব্যবহার করা হয়েছিল। শেষজন যাত্রীদের উপর হামলা চালিয়ে তাঁদের জখম করেছিল এবং তাঁদের লুঠ করেছিল।”
অপরদিকে, আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে এই চারজনের শুনানি এদিনের মতো স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন। তিনি জানান, তাদের আবেদন দুই সপ্তাহ পর ফের শোনা হোক। সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, “আমি এটা চাইছি কারণ আগামিকাল একটা উৎসব আছে। আর আমাদের অনেক কিছু বলার আছে।” বিশিষ্টআইনজীবী এস নাগামুথুও হেগড়েকে সমর্থন করেন। তিনি আদালতকে বলেন, এই চারজনের জামিনের আবেদন পুরোপুরি খারিজ না করে, আপাতত স্থগিত রাখা হোক। কিন্তু, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিরোধিতা করে বলেন, “আমার মতে তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করাই উচিত। বরং এক বছর পর তাদের ফের আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হোক।”
দুই পক্ষের যুক্তি শুনে, প্রধান বিচারপতি বলেন, “দায়রা আদালতের আরোপিত শর্তাবলীর সাপেক্ষে আমরা তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি” তবে, অন্য চারজনের ক্ষেত্রে আমরা এই পর্যায়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করতে আগ্রহী নই।”