নয়া দিল্লি: একটু একটু করে বরফ গলতে শুরু করেছে লাদাখে। এখনও সংঘাতের সম্পূর্ণ ইতি না হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার একের পর এক অংশ থেকে সরে যাচ্ছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। এ বার গোগরা হাইটস থেকে সরে গেল দুই দেশের বাহিনী। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। গত ৩১ জুলাই দুই দেশের বৈঠকে ভারত ও চিনের মধ্যে এই গোগরা হাইটস নিয়ে কথা হয়। এরপরই এল এই খবর।
আজ বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ভারত চিরকালই শান্তি স্থাপনের পক্ষে। এ ভাবেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে।’ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে ওই আধিকারিক জানান, গোগরা হাইটসে যে অবস্থানে দুই দেশের সেনাবাহিনী ছিল, সেখান থেকে সরে এসেছে। নিজেদের সেনাঘাঁটি দুই দেশের সেনা ফিরে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে থাকা অন্যান্য সমস্যাও দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই লাদাখ নিয়ে কমান্ডার স্তরের দ্বাদশ বৈঠক হয় চুসুল-মলদো সীমান্তে। আর সেই বৈঠকে PP17A অর্থাৎ গোগরা থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় চিন। কয়েকদিনের মধ্যে সেনা সরানোর কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে PP15 পয়েন্ট অর্থাৎ হট স্প্রিং থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় চিন। নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় চিন। ডেমচক এলাকায় চিনের অবস্থান নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে সূত্রের খবর।
বিগত প্রায় ১৫ মাস ধরে লাদাখ নিয়ে সংঘাত চলছে ভারত ও চিনের মধ্যে। হয়েছে একের পর এক বৈঠক। কিছুটা দূরে সরে গেলেও লালফৌজের নজরদারি এখনও জারি রয়েছে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে।
গত জুলাই মাসে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক হয় দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়ঙ্কর ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তাজিকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের পাশাপাশি দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক করার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছিলেন তাঁরা দু’জনেই।বৈঠকের পর টুইট করে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, স্টেটাস কো-র পরিবর্তন যে কখনই গ্রহণযোগ্য নয়, সেই বার্তা স্পষ্ট দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী। এরপরই কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় দুই দেশের। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় এসসিও বৈঠকের সময়েই ভারত ও চিন মুখোমুখি হয়েছিল। আলোচনায় বসেছিলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। সেই সময়ে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। আরও পড়ুন: রাজধানীতে পরপর নাবালিকা ধর্ষণে কড়া পদক্ষেপ অমিত শাহের, ৩০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করার নির্দেশ