Pralay missiles: চিন-পাকিস্তানের চোখে চোখ রেখে সীমান্তে আসছে ১২০টি ‘প্রলয়’
Govt approves 120 Pralay missiles for armed forces: ১২০টি প্রলয় ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল কেনার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি চিন-পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে মোতায়েন করা হবে।
নয়া দিল্লি: নয়া দিল্লি: ১২০টি প্রলয় ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল কেনার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি চিন-পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য, ভারতের সামরিক ইতিহাসে এই প্রথম, কৌশলগত অপারেশনে ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহারের অনুমোদন দিল সরকার। এক শীর্ষস্থানীয় সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে প্রায় ১২০টি প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর ফলে একটি রকেট বাহিনী তৈরির দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলেই দাবি করেছে ওই সূত্র। আরও জানা গিয়েছে, সেনার হাতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তুলে দেওয়ার জন্য এগুলি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার, অর্থাৎ, ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
ভারতের অন্যান্য দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রটিও তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও। ১৫০-৫০০কিমির পাল্লার পাশাপাশি শত্রুদের পক্ষে ‘ইন্টারসেপ্টর মিসাইল’ অর্থাৎ প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ভোঁতা করে দেওয়াটাও অত্যন্ত কঠিন। এছাড়া, ডিআরডিও এখনও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই এর পাল্লা আরও বাড়বে। সূত্রের খবর প্রয়াত চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতই প্রথম দেশের একটি কৌশলগত রকেট বাহিনী গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। এদিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত সেই উদ্যোগকে আরও উত্সাহ দেবে। চিন-পাকিস্তান দুই দেশই কিন্তু আগেই কৌশলগত ব্যবহারের জন্য ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েন করেছিল।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পরপর দুই দিনে প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রটির দুটি পরীক্ষা সফল হয়েছিল। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় থেকেই বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করেছিল। একটি সলিড-প্রপেল্যান্ট রকেট মোটর এবং অন্যান্য অভিনব প্রযুক্তিতে চালিত হয় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। ক্ষেপণাস্ত্রটির দিক নির্ভুল রাখতে ব্যবহার রয়েছে অত্যাধুনিক নেভিগেশন এবং ইন্টিগ্রেটেড এভিওনিক্স প্রযুক্তি। এটি একটি ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র। আগেই বলা হয়েছে ইন্টারসেপ্টর মিসাইলকে পরাস্ত করতে সক্ষম, পাশাপাশি এটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত এটি প্রয়োজনে মাঝ আকাশেই পথ পরিবর্তন করতেও পারে।