PM Narendra Modi: ফিরে দেখা: গুলবার্গ সোসাইটি গণহত্যার অভিযোগ থেকে ‘সুপ্রিম মুক্তি’ নমোর
নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে সিট-এর রায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জাকিয়া জাফরির অভিযোগ ছিল, ষড়যন্ত্রকারীদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।
বড় স্বস্তি! গুজরাটে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় বাইশে সুপ্রিম-মুক্তি পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিট-এর ক্লিনচিট দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন সাম্প্রদায়িক হিংসায় নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফেরের স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে গুজরাত হিংসার ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে দায়-মুক্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা চলতি বছরের অন্যতম বড় সুপ্রিম-রায় বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।
আদালত সূত্রে খবর, এই ঘটনায় নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে সিট-এর রায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জাকিয়া জাফরির অভিযোগ ছিল, ষড়যন্ত্রকারীদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তাঁর দাবি ছিল, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের এই মামলার তদন্ত করেনি সিট। এই পিছনে ঘৃণ্য চক্রান্ত রয়েছে। অন্যদিকে, সিট-এর তরফে দাবি করা হয়, সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়ের নির্দেশেই জাকিয়া জাফরি আদালতে ষড়যন্ত্রকারীদের আড়াল করার অভিযোগ করেছেন। অবশেষে জাকিয়া জাফরির যুক্তির পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ নেই এবং যুক্তির ঘাটতি রয়েছে বলে নতুন করে মামলাটি খোলার আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সিট-এর রায় বহাল রেখে নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাট দাঙ্গা থেকে দায়-মুক্ত করে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটির হিংসায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে সেই হিংসার ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ তাঁর মন্ত্রিসভার অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১২ নরেন্দ্র মোদী-সহ অভিযুক্ত ৬৪ জনকে ক্লিনচিট দেয়।