Wedding in Rajasthan: বর তখনও রাস্তায়, অন্য পুরুষের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিল পরিবার, তারপর…

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 17, 2022 | 9:11 PM

Wedding in Rajasthan: মত্ত যুবক বরযাত্রীর সঙ্গে নাচে এমনই ব্যস্ত যে বিয়ের লগ্ন বেরিয়ে গেলেও পাত্তা পাওয়া যানি তাঁর।

Wedding in Rajasthan: বর তখনও রাস্তায়, অন্য পুরুষের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিল পরিবার, তারপর...
এই সেই হবু বর

Follow Us

রাজস্থান : বিয়ের মণ্ডপে অপেক্ষা করছে পাত্রী ও তার পরিবার। সময় ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু হবু বরের দেখা নেই। লগ্ন বয়ে যাচ্ছে, তাও এসে পৌঁছলেন না তিনি। আর তাতেই ঘটে গেল বিপত্তি। পাত্রীর বিয়ে হয়ে গেল অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে। রাজস্থানের চুরু গ্রামের ঘটনা। পাত্র বিয়ের মণ্ডপে এসে জানতে পারেন পাত্রীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। চেঁচামেচি করেও তখন খুব একটা লাভ হয়নি। অবশেষে পরের দিন সকালে থানায় গিয়ে উপস্থিত হয় পাত্র পক্ষ।

আসল ঘটনা হল, সময় পেরিয়ে গেলেও বিয়ের মণ্ডপে পাত্র পৌঁছতে পারেননি বলেই ক্ষুব্ধ হয়েছে পাত্রীপক্ষ। জানা গিয়েছে, মত্ত অবস্থায় বরযাত্রীদের সঙ্গে নাচতে এমনই মশগুল ছিলেন যে লগ্নের খেয়ালই ছিল না পাত্রের। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা নাচের পর গিয়ে শেষমেশ মণ্ডপে গিয়ে দেখলেন কনে আর অপেক্ষায় নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর তাঁকে ছেড়ে অন্যজনকে বিয়ে করে নিয়েছেন তিনি।

রবিবার এই ঘটনা ঘটে চুরুর চেলনা গ্রামে। সুনীল নামে ওই ব্যক্তির বিয়ের লগ্ন ছিল রাত ১টা ১৫ মিনিটে। বরযাত্রীর সঙ্গে রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে রওনা হন সুনীল। যাওয়ার পথে গানের তালে নাচছিলেন সবাই। অভিযোগ, সেই সময় বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপানও করেন সুনীল। তারপর এমন নাচ শুরু করলেন, যা থামানোই কঠিন হয়ে ওঠে। আর এ কথা জেনেই ক্ষুব্ধ হন পাত্রীর পরিবার। যিনি নিজের বিয়ের লগ্নই ভুলে যান, যে পরিবার বিয়েটাকেই গুরুত্ব দেয় না, সেই পরিবারে মেয়েকে পাঠানে রাজি ছিলেন না কেউ।

তখনই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় পাত্রীর পরিবার। সুনীলের বদলে অন্য যুবকের গলায় মালা দেন পাত্রী। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে পাত্রীপক্ষের বিরুদ্ধে নালিশ করে সুনীল ও তাঁর পরিবার। তবে অভিযোগ দায়ের হয়নি। তার আগে দু পক্ষই বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেয়। দিন কয়েক আগে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল মহারাষ্ট্রে। যথা সময়ে বিয়ের আসরে বর উপস্থিত না হওয়ায় এক পরিচিত যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার।

Next Article