Gujarat nursing student: সহবাসের পরই ব্যাপক রক্তক্ষরণ, মৃত্যু নার্সিং ছাত্রীর! গ্রেফতার প্রেমিক
Gujarat nursing student: যৌনমিলনের পর, তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপকভাবে রক্তপাত হচ্ছিল। কিন্তু তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে তাঁর ২৬ বছরের প্রেমিক, যোগাযোগ করেছিল বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে কোনও প্রতিকার না পেয়ে, সে দ্বারস্থ হয় নেটদুনিয়ার। আর তাতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক নার্সিং ছাত্রীর।
আহমেদাবাদ: যৌনমিলনের পর, তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপকভাবে রক্তপাত হচ্ছিল। কিন্তু তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে তাঁর ২৬ বছরের প্রেমিক, যোগাযোগ করেছিল বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে কোনও প্রতিকার না পেয়ে, সে দ্বারস্থ হয় নেটদুনিয়ার। যৌনমিলনের সময় রক্তপাত হলে তা কীকরে বন্ধ করতে হয়, ইন্টারনেটে খুঁজেছিল সে। এইভাবে বেশ কয়েক ঘণ্টা নষ্ট করার পর, শেষ পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন প্রথম বর্ষের নার্সিং ছাত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর), গুজরাটের নবসারি জেলায়। অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিককে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও আনা হয়েছে।
নবসারির এসপি সুশীল আগরওয়াল জানিয়েছেন, ওই যুবকের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে আলাপ হয়েছিল মার্সিং ছাত্রীটির। তবে, মাঝে অনেকদিন তাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছিল না। সাত মাস আগে ফের তাদের যোগাযোগ হয় এবং তাদের মধ্য়ে একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সাত মাস ধরে প্রেম করার পর, গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারা নিজেদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত সময় কাটাবে বলে একটি হোটেলের ঘর ভাড়া নিয়েছিল। সেখানে তারা যৌনমিলনে লিপ্ত হয়। আর তারপরই মেয়েটির রক্তপাত হওয়া শুরু হয়েছিল।
পুলিশের দাবি, অনিয়ন্ত্রিতভাবে ওই নার্সিং ছাত্রীর রক্তপাত হচ্ছে বুঝতে পেরেও, অভিযুক্ত যুবর তাঁর সঙ্গে যৌনমিলনের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পরও, হোটেলের ঘরেই প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা বসেছিল ওই যুবক। বন্ধুবান্ধব, ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে বিষয়টি সেখানেই চাপা দিতে চেয়েছিল সে। কিন্তু, অবস্থা আরও খারাপ হলে, মেয়েটিকে সে এক স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। তবে, রাত সোয়া দুটো নাগাদ হাসপাতাল থেকে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে, সে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করেছিল। ঘরে যত রক্তের দাগ ছিল, তা ধুয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছিলে সে। পুলিশের দাবি, যদি সে অবিলম্বে তার প্রেমিকাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেত এবং মেয়েটি আইভি তরল, রক্ত এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পেত, তাহলে সে বেঁচে যেত। ফরেন্সিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে ওই নার্সিং ছাত্রীর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেয়েটির গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাত ছিল। এর ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। যার ফলে রক্তক্ষরণজনিত শকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার পুনর্গঠন করবেন তাঁরা।