Gujarat: স্ত্রীর গলাকাটা দেহ নিয়ে বাসের সিটে বসে স্বামী, গ্রেফতার করতে এসে হতবাক পুলিশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Dec 22, 2022 | 11:28 PM

Gujarat Crime News: চলন্ত বাসের মধ্যে, স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সুরাট পুলিশের এক কর্তাকে।

Gujarat: স্ত্রীর গলাকাটা দেহ নিয়ে বাসের সিটে বসে স্বামী, গ্রেফতার করতে এসে হতবাক পুলিশ
প্রতীকী ছবি

Follow Us

আহমেদাবাদ: বাসের ভিতর একটি আসনে বসে আছেন এক ব্যক্তি। তার পাশেই বসে আছেন তাঁর স্ত্রী। তবে, তিনি জীবিত নন, তাঁর গলা ছুরি দিয়ে ফালা ফালা করে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার, গুজরাটের ছোটা উদেপুর জেলায়। অভিযুক্তের নাম অমৃত রাথওয়া। তিনি পেশায় একজন পুলিশ কর্তা, সুরাট জেলায় নিযুক্ত ছিলেন। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহেই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। চলন্ত বাসের মধ্যে, স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

অমৃত রাথওয়ার স্ত্রী মাঙ্গুবেন, গুজরাট স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে বাস কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করতেন।কর্মরতা স্ত্রী কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলে সন্দেহ করতেন অমৃত। এই সন্দেহ ক্রমশ তাঁর মনকে গ্রাস করছিল। প্রায়শই এই বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হত তাঁর। হত্যার দিনও মাঙ্গুবেনের সঙ্গে ফোনে ঝগড়া হয়েছিল সুরাটের ওই পুলিশ কর্তার। এরপরই তিনি স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাগের মাথায় এই হত্যার সিদ্ধান্ত নিলেও, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন অমৃত রাথওয়া, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের।

বস্তুত স্ত্রীকে সন্দেহে উদ্দেশ্যে, সুরাট থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়েছিলেন অমৃত। ছোটা উদেপুর জেলার ভিখাপুর গ্রামে ওঁত পেতে বসে ছিলেন তিনি। তিনি জানতেন তাঁর বাস কন্ডাক্টর স্ত্রী যে বাসে কর্তব্যরতা, সেই বাস ওই গ্রামের উপর দিয়েই যায়। গুজরাট স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাসটি ভিখাপুর গ্রামে আসতেই, সেই বাসে উঠেছিলেন অমৃত রাথওয়া। তাঁর সঙ্গে ছিল একটি ধারালো ছুরি। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই বাসেই নিযুক্ত ছিলেন মাঙ্গুবেন। তিনি কন্ডাক্টরের আসনে বসেছিলেন। তাঁকে দেখতে পেয়েছিলেন অমৃত। কিন্তু, মাঙ্গুবেন তাঁকে দেখতে পাননি।

তদন্তকারীদের দাবি, এরপর গোপনে কন্ডাক্টরের আসনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন অমৃত রাথওয়া। মাঙ্গুবেন কিছু বোঝার আগেই ছুরিটি বের করে প্রবল আক্রোশে তার গলায় কোপ দিতে শুরু করেছিলেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাঙ্গুবেনের। আতঙ্কে বাস ছেড়ে পালিয়ে যান বাসচালক এবং অন্যান্য যাত্রীরা। তাঁরাই খবর দিয়েছিলেন পুলিশকে। অমৃত রাথওয়া অবশ্য পালাননি। হত্যার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে ঘটনাস্থলে না আসা পর্যন্ত, অমৃত স্ত্রীর গলাকাটা দেহ পাশে নিয়েই বাসের ভিতর বসে ছিলেন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করে একটি মামলা রুজু করেছে। এই ঘটনার বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।

Next Article