রাজকোট: ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Biparjoy) ল্যান্ডফল-এর এখনও দেরি রয়েছে। গুজরাটের (Gujarat) কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিপর্যয়-এর। কিন্তু, ইতিমধ্যে তার প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘বিপর্যয়’ আছড়ে পড়ার আগেই তার হাওয়ার দাপটে চলন্ত মোটরবাইকের উপর ভেঙে পড়ল একটি বড় গাছ। আর সেই গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হল মহিলার। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোট (Rajkot) জেলায়।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বর্ষা বাভালিয়া। সোমবার সকালে স্বামীর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে তিনি কমলাপুর-ভাদলা হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন। জাসদান তালুক এলাকায় প্রবল হাওয়ার দাপটে হাইওয়ের পাশে থাকা একটি গাছ আচমকা তাঁদের মোটর বাইকের উপর ভেঙে পড়ে। সেই গাছ চাপা পড়েই গুরুতর জখম হন বর্ষা বাভালিয়া এবং তাঁর স্বামী ভাবেশ বাভালিয়া। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় বর্ষা ভাবালিয়ার। গাছ পড়ে একটি অটোও দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৫০ কিলোমিটার। তবে সোমবার থেকেই ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে গুজরাটের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য রাজস্থানে।
ল্যান্ডফলের আগেই ‘বিপর্যয়’-এর দাপটে রাজকোট জেলায় গাছ চাপা পড়ে মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল রাজকোটে। সৌরাষ্ট্রেও একই ঘটনার বলি হয়েছে দুই শিশু সহ এক মহিলা। সৌরাষ্ট্রের ভুজ শহরে বাড়ির কাছে খেলতে গিয়ে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে চার বছরের বালক ও ৬ বছরের বালিকার। ওই শহরেই গাছ চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, বিপর্যয় এড়াতে ইতিমধ্যে পশ্চিম রেলওয়ের বহু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে বলে SDRF জানিয়েছে।