AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

HAL Tejas Mark 2: স্বদেশীকরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল DRDO, প্রায় সম্পূর্ণ বিমানই এবার তৈরি হবে ভারতে!

Defence Research and Development Organisation, Light Combat Aircraft: ডিআরডিও সফলতার সঙ্গে ফাইটার জেটের এই ইজেকশন সিট সিস্টেমটি তৈরি করেছে। এবং সেই সিস্টেম হাই স্পিড রকেট স্লেড টেস্টও সম্পন্ন করেছে। চণ্ডীগঢ়ের টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবেরোটরিতে এই টেস্ট হয়েছে।

HAL Tejas Mark 2: স্বদেশীকরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল DRDO, প্রায় সম্পূর্ণ বিমানই এবার তৈরি হবে ভারতে!
সফল DRDO, শক্তি বাড়ল সেনার!Image Credit: https://x.com/DRDO_India
| Updated on: Dec 03, 2025 | 5:55 PM
Share

ভারতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমানের আরও উন্নততর ভার্সন অর্থাৎ তেজস মার্ক ২-তে ব্যবহৃত বিভিন্ন অংশের এখন বেশিরভাগটাই তৈরি হবে ভারতে। গত ৩ ডিসেম্বর ডিআরডিও অর্থাৎ ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবার তৈরি করে ফেলল ইজেকশন সিট। অর্থাৎ, যে সিটে বসে পাইলট বিমান চালাবেন, সেই সিটও এবার তৈরি হবে আমাদের দেশে।

ডিআরডিও সফলতার সঙ্গে ফাইটার জেটের এই ইজেকশন সিট সিস্টেমটি তৈরি করেছে। এবং সেই সিস্টেম হাই স্পিড রকেট স্লেড টেস্টও সম্পন্ন করেছে। চণ্ডীগঢ়ের টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবেরোটরিতে এই টেস্ট হয়েছে। এই ল্যাবে রয়েছে অত্যাধুনিক রেল ট্র্যাক রকেট স্লেড বা RTRS সুবিধা। আর সেখানে ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে এই সিস্টেমটাকে পরীক্ষা করা হয়।

এই টেস্টে কোন বিষয়গুলো দেখা হয়েছে?

প্রথমত, ক্যানোপি সেভারেন্স। অর্থাৎ, পাইলটের মাথার উপর থেকে কাচের ঢাকনা বা ক্যানোপি সঠিক ভাবে ভেঙেছে ও আলাদা হয়ে গিয়েছে জেট থেকে। দ্বিতীয়ত, ইনজেকশন সিক্যোয়েন্স। অর্থাৎ, মুহূর্তের মধ্যে সিট বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া। তৃতীয়ত, এয়ারক্রু রিকভারি। অর্থাৎ, সিট বেরিয়ে আসার পর পাইলটকে নিরাপদে উদ্ধার করার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা।

তেজস মার্ক ২-তে কী কী দেশীয় যন্ত্র ব্যবহার করা হবে?

যা জানা যাচ্ছে তাতে আগামী প্রজন্মের তেজস যুদ্ধবিমান অর্থাৎ, তেজস মার্ক ২-তে বেশিরভাগ কম্পোনেন্টই হবে ভারতে তৈরি। অর্থাৎ, ইঞ্জিন বাদে প্রায় সবই তৈরি হবে আমাদের দেশে। এর মধ্যে রয়েছে রেডার, ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ার স্যুট, রেডার ওয়ার্নিং রিসিভার, মিসাইল অ্যাপ্রোচ ওয়ার্নিং সিস্টেম, ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম, ককপিটের ঢাকনা বা ক্যানোপি, যুদ্ধবিমানের ককপিট, এয়ার ফ্রেম, নাবিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম, ফ্লাই বাই ওয়্যার কন্ট্রোল সিস্টেম, বিভিন্ন কম্পোজিট পদার্থ, লাইন রিপ্লেসেবল ইউনিট, অন বোর্ড অক্সিজেন জেনারেটিং সিস্টেম, ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটার, হেড আউ ডিসপ্লে, ল্যান্ডিং গিয়ারস। এ ছাড়াও এখন তৈরি হয়েছে ইজেনশন সিট।