Cough Syrup: ২০১১-তে ব্যান করেছিল ভিয়েতনাম, একাধিক গলদ খুঁজে পেতেই হরিয়ানার সংস্থাকে শোকজ নোটিস দিল FDA

Cough Syrup Controversy: বর্তমানে ওই ওষুধগুলির নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট আসলেই সংস্থার তরফে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।

Cough Syrup: ২০১১-তে ব্যান করেছিল ভিয়েতনাম, একাধিক গলদ খুঁজে পেতেই হরিয়ানার সংস্থাকে শোকজ নোটিস দিল FDA
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2022 | 11:45 AM

নয়া দিল্লি: ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে মৃত্য়ু হয়েছে গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর, এমনটাই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপরই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে হরিয়ানার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও। এবার হরিয়ানার নিয়ামক সংস্থার তরফেই কাফ সিরাপ উৎপাদনে বেশ কিছু গাফিলতি খুঁজে বের করল। সূত্রের খবর, হরিয়ানার রাজ্য ওষুধ নিয়ামক সংস্থার আধিকারিকরা ১২টি গলদ খুঁজে বের করেছেন। সোনিপতের কারখানায় অভিযান চালিয়েই এই গলদগুলি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।  ইতিমধ্যেই ওই সংস্থাকে শো-কজ নোটিসও দেওয়া হয়েছে।

গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশু মৃত্যুর পরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ খেয়েই ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। হরিয়ানার ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। হরিয়ানা সরকারের তরফেও তদন্ত শুরু করা হয়।

তদন্তে নেমে হরিয়ানার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বেশ কিছু গলদ খুঁজে পেয়েছে। এরপরই ওই সংস্থার কাছে এই গলদের কারণ জানতে চাওয়া হয়। আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে হরিয়ানার ওই সংস্থাকে শোকজ নোটিসের জবাবে জানাতে হবে যে কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে না।

কী কী গলদ পাওয়া গিয়েছে?

১. লগ বুক উধাও- তদন্তের সময়ে হরিয়ানার ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা লগবুক দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। যে চারটি কাফ সিরাপের উপাদান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা কীভাবে প্রস্তুত করা হয় ও কী কী সামগ্রী তাতে ব্যবহার হয়, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

২. নেই ব্যাচ নম্বরও– যে চারটি কাফ সিরাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তার ব্যাচ নম্বর ও উৎপাদন সংক্রান্ত কোনও তথ্যই জানা যায়নি।

৩. ওষুধ তৈরির অ্যানালিটিক্যাল পদ্ধতি সম্পর্কেও কোনও তথ্য জানানো হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।

৪. জানা গিয়েছে, এর আগে দেশের চার রাজ্যের তরফে এই কাফ সিরাপগুলির গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এবং তা গুণমান উত্তীর্ণ করেনি বলেই জানানো হয়েছিল।

৫. ২০১১ সালে ভিয়েতনামেও এই সংস্থার ওষুধগুলি ব্যান করে দেওয়া হয়।

বর্তমানে ওই ওষুধগুলির নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট আসলেই সংস্থার তরফে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।