Kamduni Case: রাষ্ট্রপতি ও অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে চায় কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার
Kamduni Case: প্রসঙ্গত, ফাঁসির সাজা মুকুব এবং দোষীদের বেকসুর খালাসের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং সন্দীপ মেহেতার এজলাসে শুনানি হয়।
নয়া দিল্লি: মুক্তিপ্রাপ্ত দোষীদের গ্রেফতারের আবেদনে এদিনও সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইতিমধ্যেই একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর (বিস্তারিত শুনানি ছাড়াই) কীভাবে দোষীদের ফের জেলে পাঠানো যায়। একটি ঘটনা ছাড়া এ ধরনের কোনও নজির নেই। সূত্রের খবর, এদিন মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস ইস্যু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে আবার কামদুনির (Kamduni) নির্যাতিতার পরিবার এবং প্রতিবাদীদের অভিযোগ, আজ রাজ্য সরকারের তরফে কোনও আইনজীবী শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন না। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ফাঁসির সাজা মুকুব এবং দোষীদের বেকসুর খালাসের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং সন্দীপ মেহেতার এজলাসে শুনানি হয়। সেই সময়েই মুক্তিপ্রাপ্ত দোষীদের ফের গ্রেফতারির আবেদন জাননো হয়। যদিও তা মানেনি সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে জেল থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করে আগেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, অভিযুক্তরা রাজারহাট থানায় এলাকার বাইরে যেতে পারবে না। বিশেষ প্রয়োজনে যেতে হলে আগাম ওসির অনুমতি নিতে হবে। প্রতিমাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার থানায় হাজিরা দিতে হবে মুক্তিপ্রাপ্তদের। নিজেদের বর্তমান ঠিকানা থানায় নথিভুক্ত করাতে হবে। জানাতে হবে নিজেদের মোবাইল নম্বর। ঠিকানা পরিবর্তন করতে হলে আগাম পুলিশকে জানাতে হবে। কারও কাছে পাসপোর্ট থাকলে তা থানায় জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে এদিন দেখা করার আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। সূত্রের খবর, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসে দেখা করার আর্জি জানিয়ে চিঠি দেবেন তাঁরা। যেতে পারেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনেও।