Heavy Rainfall: হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ে মৃত কমপক্ষে ৮১, ফের সতর্কতা জারি মৌসম ভবনের

Himachal Pradesh-Uttarakhand: লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে সবথেকে বিপর্যস্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশই। বুধবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে আরও কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিগত তিনদিনে কমপক্ষে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Heavy Rainfall:  হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ে মৃত কমপক্ষে ৮১, ফের সতর্কতা জারি মৌসম ভবনের
হিমাচল প্রদেশে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বায়ুসেনা।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2023 | 8:47 AM

দেহরাদুন ও সিমলা: উত্তরে মহা বিপদ। ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর ভারতের পাহাড়ি একের পর এক রাজ্য। ভয়াবহ পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিগত এক সপ্তাহ ধরে দুই রাজ্যেই ধস(Landslide), হড়পা বান (Flash Flood) নেমেছে। বিপর্যয়ের মুখে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, একটানা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে কমপক্ষে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। এদিকে, বৃষ্টিতে হড়পা বান নেমেছে পঞ্জাবেও। আগামী কয়েকদিনও দুই রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।

হিমাচলে বিপর্যয়-

লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে সবথেকে বিপর্যস্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশই। বুধবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে আরও কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিগত তিনদিনে কমপক্ষে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন এখনও নিখোঁজ। শনিবার রাত থেকে এখনও অবধি ৫৭টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজ্য় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস থেকে শুরু হওয়া চলতি বর্ষার মরশুমে বৃষ্টি ও ধসের দেরে রাজ্যে ২১৪ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। ৩৮ জন এখনও নিখোঁজ।  ভয়াবহ ধস নেমেছে সিমলা, ফাগলি ও কৃষ্ণানগরে। বর্তমানে সামার হিলস ও কৃষ্ণা নগরে উদ্ধারকাজ চলছে। সামার হিলস থেকে ১৩ জনের দেহ, ফাগলি থেকে ৫ জনের ও কৃষ্ণানগর থেকে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। সামার হিলসে যে শিব মন্দির ভেঙে পড়েছে, তার নীচে এখনও পুণ্যার্থীদের দেহ চাপা পড়ে রয়েছে বলেই অনুমান।

ভারী বৃ্ষ্টি ও ধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশে উদ্ধারকাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধারকাজ করছে সেনাবাহিনী।

উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি-

হিমাচল প্রদেশের মতোই ভয়াবহ অবস্থা উত্তরাখণ্ডেও। সেখানেও ভারী বৃষ্টি ও ধসের জেরে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার লক্ষ্ণণ ঝুলার একটি ভেঙে পড়া রিসর্টের ভিতর থেকে এক দম্পতি ও তাদের সন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয়। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। নতুন করে ধস নামায় পৌরি-কোটদ্বার-দুগাদ্দা জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কও বন্ধ হয়ে গিয়েছে পিপলকোটিতে ধস নামার জন্য।