রাঁচী: ঝাড়খণ্ডে ঝড় তুলেছেন হেমন্ত সোরেন। ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ধরে রেখেছেন নিজের গদি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-কে উড়িয়ে ক্ষমতা দখলে রেখেছে ইন্ডিয়া। ফের একবার সরকার গড়ছেন হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদেও তিনিই বসতে চলেছেন আরও একবার। আজ, ২৮ নভেম্বরই হেমন্ত সোরেন দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল সহ ইন্ডিয়া জোটের একাধিক নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, আজ বিকেল ৪টেয় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন। এই নিয়ে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, এবার একাই শপথ নেবেন হেমন্ত। কোনও মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ আজ হবে না। আগামিকাল কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রীপদ চূড়ান্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই জানা গিয়েছিল, জোটসঙ্গী কংগ্রেস উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দাবি করেছিল। কিন্তু জেএমএম তা সাফ খারিজ করে দেয়। কংগ্রেসকে ৪টি মন্ত্রীপদ দিতে রাজি হয়েছে হেমন্ত সোরেনের দল। কোন কোন মন্ত্রক নেবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কংগ্রেস।
অন্যদিকে, এবার মন্ত্রিসভায় আত্মপ্রকাশ হতে পারে হেমন্ত-জায়ারও। দুর্নীতি মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি, বারেবারেই কল্পনা সোরেনের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উঠে এসেছিল। হেমন্তের অবর্তমানে ইন্ডিয়া জোট এবং রাজ্যে জেএমএম-র মুখ হয়েছিলেন তিনিই। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন এবং জয়ীও হন। এবার তাঁকে মন্ত্রিসভায় আনতে পারেন হেমন্ত সোরেন।
আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাংলায় বন্যা নিয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেও, যাবতীয় দূরত্ব মিটিয়ে আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে পারেন তিনি। এছাড়াও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল, শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখু উপস্থিত থাকতে পারেন। আসতে পারেন উদয়নিধি স্ট্যালিন, কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও।