পটনা : জামাইষষ্ঠীর আগে ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন শ্বশুরমশাই। সঙ্গে ছিলেন শ্যালকও। মর্মান্তিক পরণতি হল কাউন্সিলরের ভাইয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাওয়ান গ্রামে। জামাই ষষ্ঠীর আগের দিন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিজের জামাইকে গুলি করে খুন করলেন প্রাক্তন সেনা কর্মী। তারপর নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলরের সনু রাইয়ের ভাই হল মনু রাই। পরিবারের অমতে এক বছর আগে এই মনুকেই বিয়ে করেন প্রাক্তন সেনা কর্মীর মেয়ে। মনু অন্য জাতির। সেটাই মেনে নিতে পারেননি মেয়েটির বাবা সুনীল পাঠক ও তাঁর পরিবার। মেয়ের এই পদক্ষেপের জবাব ফিরিয়ে দিলেন জামাইষষ্ঠীর আগেরদিন। নিজের ছেলে ধনু পাঠককে নিয়ে সেলুনের মধ্যে গুলি করে খুন করলেন নিজের জামাইকে। সম্প্রতি সেই খুনের সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সিসিটিভি ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি সেলুনে দাড়ি কামাচ্ছেন। তখন হঠাৎ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি ঘুরেই পিস্তল দিয়ে তাঁর মুখে গুলি করে। কোনওভাবে কান ঘেঁষে বুলেটটি বেরিয়ে যায়। এবং মনু উঠে যায়। নাপিত তাঁর সেলুন ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারপর ক্ষুর নিয়ে তেড়ে যান শুটার। তাঁর সঙ্গে আরেকজন পিস্তল হাতে যোগ দেন। তারপর আহতের মাথায় সে গুলি করে। এবং দু’জন মিলে তাঁকে কোণায় টেনে এনে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। রক্তাক্ত মৃতদেহ হয়ে এক কোণে পড়ে থাকতে দেখা যায় ব্যক্তিকে।
अंतरजातीय विवाह करने की मोनू राय को उनके ससुर रिटायर्ड फ़ौजी ससुर सुनील पाठक ने अपने बेटे के साथ बक्सर ज़िले के डुमरांव में गोली मार कर हत्या कर सजा दी और बाद में खुद एसपी को फ़ोन कर सरेंडर भी किया @ndtvindia @Anurag_Dwary pic.twitter.com/VDzhUjmHcx
— manish (@manishndtv) June 7, 2022
সতর্কীকরণ বার্তা : ভিডিয়োয় হিংসাত্মক দৃশ্য রয়েছে।
ওই মৃত ব্যক্তিকে মনু রাই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁকে খুন করেছে তাঁরই শ্বশুরমশাই সুনীল পাঠক ও শ্যালক ধনু পাঠক। খুন করে নিজে পুলিশকে ফোন করেন সুনীল। এবং আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে ভালবেসে বিয়ে করার জন্য খুন করা হয়েছে মনুকে। সুনীল পাঠককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই খুনের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।