Human sacrifice: রোগ সারানোর নামে কিশোরকে নরবলি দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার মহিলা পুরোহিত সহ ৪

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Jul 31, 2023 | 9:28 PM

Odisha: গত কয়েক মাস ধরে তাঁর ছেলে ভুগছিল। অনেক ডাক্তার দেখানোর পরেও সুস্থ হয়নি। অবশেষে গত ২২ জুলাই তুসুর গ্রামে ঋতাঞ্জলী বাগের আশ্রমে ছেলেকে নিয়ে যান মা। সেখানেই ঘটে মর্মান্তিক পরিণতি।

Human sacrifice: রোগ সারানোর নামে কিশোরকে নরবলি দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার মহিলা পুরোহিত সহ ৪
প্রতীকী ছবি।
Image Credit source: PTI

Follow Us

অঙ্গুল: সমাজ আধুনিক হয়েছে। কিন্তু, এখনও কুসংস্কার ঘোচেনি। ১৪ বছরের ছেলের রোগ সারাতে এক আশ্রমের মহিলা পুরোহিতের দ্বারস্থ হয়েছিন মা। ভাবতে পারেননি, ঝাড়-ফুঁক করে রোগ সারানোর নামে কিশোরকে নরবলি (Human sacrifice) দেবে ওই পুরোহিত। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) অঙ্গুলে। নরবলি দেওয়ার অভিযোগে ওই মহিলা পুরোহিত ও তার ৩ ছেলেকে গ্রেফতার করেছে অঙ্গুল থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম সঞ্চিত বিসওয়াল। অঙ্গুলের সুবর্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্চিতকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে কিয়াকাটা থানার তুসুর গ্রামের মহিলা পুরোহিত ঋতাঞ্জলী বাগের বিরুদ্ধে। ঋতাঞ্জলী ও তাঁর তিন ছেলে, সৌম্যরঞ্জন, দিব্যরঞ্জন ও জ্যোর্তিময়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সঞ্চিতের মা বাসন্তীদেবী জানান, গত কয়েক মাস ধরে তাঁর ছেলে ভুগছিল। অনেক ডাক্তার দেখানোর পরেও সুস্থ হয়নি। অবশেষে গত ২২ জুলাই তুসুর গ্রামে ঋতাঞ্জলী বাগের আশ্রমে ছেলেকে নিয়ে যান তিনি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মহিলা পুরোহিত হিসাবে পরিচিত ঋতাঞ্জলী তাঁর সাধনা ও ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে অনেক কঠিন অসুখ সারিয়ে দিতে পারেন। বাসন্তীদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, ২২ জুলাই রাতে সঞ্চিতকে ঝাড়-ফুঁক করবে বলে ঋতাঞ্জলী তাঁকে আলাদা ঘরে ঘুমোতে বলেন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তার হদিশ পাননি। এমনকি, ঋতাঞ্জলীও আশ্রম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।

এরপর সারা দিন চারদিকে খুঁজেও ছেলেকে হদিশ না পাওয়ায় ২৪ জুলাই কিয়ারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। এরপর গত ২৮ জুলাই আশ্রমের অদূরে বারুনি জঙ্গলে একটি গাছ থেকে সঞ্চিতের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসী। তার দেহের নীচের অংশ কাটা ছিল। ঝাড়-ফুঁকের নামে ঋতাঞ্জলী ওই কিশোরকে নরবলি দিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসী। রাস্তা অবরোধ করে তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত মহিলা পুরোহিত-সহ তার ৩ ছেলেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

তবে কিশোরকে নরবলি দেওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। নরবলির বিষয়ে কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন অঙ্গুল জেলা পুলিশের সিনিয়ার আধিকারিক। অঙ্গুলের এসপি জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিশোরের দেহটি ময়নাতদন্ত ও ফরেন্সিক তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Next Article