IAS Officer Harassment: সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে গিয়ে ‘বন্দি’ হলেন আইএএস আধিকারিক, খেলেন দুষ্কৃতীর কামড়ও!
Fisheries Scam Allegation: ওই আধিকারিক আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন, এই আশঙ্কাতেই বচসা আরও বাড়ে। হঠাৎ বাবু পারমার নামক ওই কনট্রাক্টর আইএএস অফিসারের হাঁটুতে কামড়ে দেন।
আহমেদাবাদ: পুলিশি অভিযোগের তদন্তে গিয়ে কার্যত বন্দি হলেন আইএএস অফিসার(IAS Officer)। ব্যাপক মারধরও করা হয় তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে (Gujarat)। জানা গিয়েছে, গুজরাটের সবরকান্ত জেলার ধারোই বাঁধের কাছে একটি গ্রামে বেআইনিভাবে মাছ ধরা ও ফিশারি প্রকল্পে দুর্নীতির (Fisheries Project Scam) অভিযোগের তদন্তে গিয়েছিলেন আইএএস অফিসার নিতিন সাঙ্গওয়ান। সেখানে যেতেই তাঁকে বন্দি বানিয়ে রাখে একদল যুবক। মারধরও করা হয় ওই আইএএস অফিসারকে। পরে পুলিশের তৎপরতায় ওই আধিকারিককে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আইএএস অফিসার গুজরাটের মৎস দফতরের ডিরেক্টর পদে কর্মরত রয়েছে। সম্প্রতিই ধারোই বাঁধের কাছে একটি গ্রামে মৎস দফতরের একটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে যান। সেখানেই স্থানীয় কিছু মৎসজীবীরা ওই আধিকারিক ও তাঁর সহকারীদের উপরে হামলা করে। আইএএস অফিসার গুরুতর আহত হলেও, বর্তমানে তিনি বিপদমুক্ত বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গুজরাটে সবরমতী নদীর উপরে তৈরি এই ধারেই বাঁধের আশেপাশেই রাজ্য সরকারের তরফে একটি মৎস প্রকল্প শুরু করা হয়েছে, যেখানে বাঁধের জলে খাঁচা বসিয়ে মাছ ধরা বা ‘কেজ কালচার ফিশিং’-র জন্য স্থানীয় মৎসজীবী ও কনট্রাক্টরদের ভর্তুকি দেওয়া হয়। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৬ মার্চ আইএএস অফিসার নিতিন সাঙ্গওয়ান, মৎস দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ডিএম পটেল ও কয়েকজন জুনিয়র স্টাফ এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানেই বাবু পারমার নামক একজন স্থানীয় কনট্রাক্টরের সঙ্গে আইএএস অফিসারের বচসা শুরু হয়। সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় ও দুর্নীতির আন্দাজ করতে পারার কারণেই এই বচসা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।
ওই আধিকারিক আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন, এই আশঙ্কাতেই বচসা আরও বাড়ে। হঠাৎ বাবু পারমার নামক ওই কনট্রাক্টর আইএএস অফিসারের হাঁটুতে কামড়ে দেন। এরপরে আরও চারজন আসেন এবং তারা আইএএস অফিসারকে বন্দি করে রাখেন এবং মারধর করেন। বাবু পারমার নামক ওই ব্যক্তি আরও ১০-১২ জনকে ডাকেন, তাঁরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন এবং সরকারি আধিকারিকদের আটকে রাখেম। যতক্ষণ অবধি তারা কাগজে লিখিত প্রতিশ্রুতি না দেন যে ছাড়া পাওয়ার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন না, ততক্ষণ অবধি তাদের বন্দি বানিয়ে রাখা হয়। এমনকী, সই না করলে ওই আইএওস অফিসার ও তাঁর সহকারীদের বাঁধের জলে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীর উপরে হামলা ও তাঁকে বন্দি বানিয়ে রাখার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।