IIM Students write to PM Modi: বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি আইআইএম পড়ুয়াদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 08, 2022 | 5:21 PM

Prime Minister Narendra Modi : মোদীকে পাঠানো ওই চিঠিতে উৎকন্ঠা প্রকাশ করে স্বাক্ষরকারীরা বলেছেন, এই ধরনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকলে, যারা এই ধরনের মন্তব্য করছে তারা আরও উৎসাহ পাবে।

IIM Students write to PM Modi: বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি আইআইএম পড়ুয়াদের
ছবি: ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি : হরিদ্বারের ধর্ম সংসদের অনুষ্ঠানে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে তোলপাড় হচ্ছে দেশ। আর এই বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রভাব গিয়ে পড়েছে রাজনীতির আঙিনাতেও। চলছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পালা। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) কাছে এক খোলা চিঠি পাঠালেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের (IIM) ছাত্র এবং শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রী যাতে এই ধরনের বিদ্বেষমূলক ও বর্ণ-ভিত্তিক মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন, সেই অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। মোদীকে পাঠানো ওই চিঠিতে উৎকন্ঠা প্রকাশ করে স্বাক্ষরকারীরা বলেছেন, এই ধরনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকলে, যারা এই ধরনের মন্তব্য করছে তারা আরও উৎসাহ পাবে।

আইআইএম-এর পড়ুয়া ও শিক্ষকদের চিঠির বয়ান অনুযায়ী, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার নীরবতা বিদ্বেষমূলক কণ্ঠকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। আমাদের দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার উপর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি, আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ আনতে চায় এমন শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।”

সম্প্রতি হরিদ্বার ধর্ম সংসদের অনুষ্ঠানে যে ধরনের ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে, সেই প্রেক্ষাপটে আইআইএমের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এই খোলা চিঠি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের ধর্ম সংসদ নামক একটি ধর্মীয় সম্মেলনে গণহত্যার হুমকি দেওয়া ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই হুঁশিয়ারির ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনকেও চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ৭৬ জন আইনজীবী।

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো আইআইএমের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “ধর্ম ও বর্ণ পরিচয়ের ভিত্তিতে কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা লিখেছেন, যদিও ভারতীয় সংবিধান নাগরিকদের নিজের নিজের ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের অধিকার দিয়েছে, তবুও দেশে এক ভয়ের বাতাবরণ রয়েছে। তাঁরা লিখেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বিভিন্ন উপাসনালয়গুলি ভাংচুর করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই সেখানকার এসএসপি যোগেন্দ্র সিং রাওয়াত বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে তাঁর অধস্তনদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে পুলিশি তদন্তে ইয়েতি নরসিংহানন্দ এবং ধর্মরাজ সিন্ধুর নামও উঠে এসেছে। পাশাপাশি প্রধান অভিযুক্ত জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী এবং সাধ্বী অন্নুপূর্ণাকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির (CRPC) ৪১ নম্বর ধারা অনুযায়ী নোটিস দেওয়া হয়েছে।

এসএসপি আরও বলেন, পুলিশ শীঘ্রই বাকি অভিযুক্তদেরও নোটিস দেবে। কারণ পুলিশের তদন্ত এখনও চলছে এবং ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন তথ্য আসছে। তাই আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসারও সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : 5 State Elections Date: ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও মিছিল, রোড-শো নয়; লক্ষ্য করোনা-মুক্ত নির্বাচন

Next Article