5 State Elections Date: ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও মিছিল, রোড-শো নয়; লক্ষ্য করোনা-মুক্ত নির্বাচন
5 State Assembly Elections: ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল বা বাইক র্যালি ও মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং তারপরে নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
নয়া দিল্লি : দেশে করোনার সংক্রমণ গ্রাফ ফের একবার ঊর্ধ্বমুখী। তবে গণতন্ত্রের উৎসব থেমে থাকছে না। নির্ঘণ্ট মেনেই ভোট হবে উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে (5 State Assembly Elections)। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। উত্তর প্রদেশে ভোট হবে সাত দফায় – ১০, ১৪, ২০, ২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ ও ৭ মার্চ। পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় ভোট হবে এক দফায় – ১৪ ফেব্রুয়ারি। মণিপুরে ভোট হচ্ছে দুই দফায় – ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ।
করোনা-মুক্ত নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ কমিশনের
নির্বাচন হচ্ছে, তবে করোনার সংক্রমণ যাতে লাগামছাড়া না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনওরকম রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল বা বাইক র্যালি কিংবা কোনওরকমের মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেই সময়ের করোনা পরিস্থিতির ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।
করোনা আক্রান্তদের জন্য পোস্টাল ব্যালট
বর্তমানের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান লক্ষ্যই হল ভোট এবং ভোটারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। শনিবার রাজধানীতে বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই এই কথা জানিয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। ভোটারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ৮০ বছরের বেশি বয়সি প্রবীণ নাগরিক, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভোট দেওয়ার জন্য বুথে যেতে হবে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমেই তাঁরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ
নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভিভিপ্যাটের ব্যবহার করা হবে বলে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে। রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইভিএমও। এর পাশাপাশি যদি কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে তাদের ওয়েবসাইটে ওই ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে আপলোড করতে হবে। সেই সঙ্গে কেন ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন থাকার পরেও ওই ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করা হল, সেই কারণও জানাতে হবে কমিশনকে।
আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণবিধি (Model Code of Conduct) কার্যকর হয়ে গিয়েছে পাঁচ রাজ্যে। আদর্শ আচরণবিধির নির্দেশিকা যাতে যথাযথভাবে মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন একাধিক ব্যবস্থা করেছে। এই নির্দেশিকাগুলির কোনওরকম লঙ্ঘন করতে দেখা গেলে তার জন্যও থাকছে কড়া দাওয়াই। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, “আমাদের সি-ভিজিল (cVIGIL) অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন, টাকা বিলি কিংবা বিনামূল্য অন্য কিছু বিলি করার যে কোনও ঘটনার অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা। অভিযোগ পাওয়ার ১০০ মিনিটের মধ্যে, কমিশনের আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবেন।”