India’s COVID-19 Cases: ১ সপ্তাহেই ১০ হাজার থেকে লাখের ঘরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হারও
India's COVID-19 Cases: এক সপ্তাহ আগেই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল। সপ্তাহ পার হতে না হতেই তা লাখের গণ্ডিতে প্রবেশ করে গেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবেই দেশে করোনা সংক্রমণ ব্যপক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নয়া দিল্লি: ফের লাখের গণ্ডি পার করল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য় অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন। এর আগে দৈনিক সংক্রমণ লাখের গণ্ডি পার করেছিল গত বছরের জুন মাসে। ৭ জুন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৩৬।
১ সপ্তাহেই ১০ হাজার থেকে ১ লাখে দৈনিক সংক্রমণ:
এক সপ্তাহ আগেই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল। সপ্তাহ পার হতে না হতেই তা লাখের গণ্ডিতে প্রবেশ করে গেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবেই দেশে করোনা সংক্রমণ ব্যপক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশের ২৭টি রাজ্য়ে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট।
বাড়ছে সংক্রমণের হার:
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার ৯.২৮ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.৬৬ শতাংশে। অন্যদিকে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে সুস্থতার হার, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৩০ শতাংশে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত:
দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে দায়ী অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৬৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বর্তমানে দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৭১। দেশের ২৭টি রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলছে মহারাষ্ট্র থেকেই, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৬। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৩। তবে ওমিক্রনের জেরে গুরুতর অসুস্থতা তৈরি না হওয়ায়, এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা। অন্যদিকে দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ১২০৩ জনই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
মুম্বইয়ে লকডাউনের চিন্তাভাবনা:
দেশে করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণে ফের সর্বাধিক প্রভাবিত হয়েছে মহারাষ্ট্রই। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪০ হাজার ৯২৫ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এদের মধ্যে ২০ হাজার ৯৭১ জনই আবার মুম্বইয়ের বাসিন্দা। আগেই মুম্বইয়ের মেয়র জানিয়েছিলেন, শহরে দৈনিক আক্রান্ত ২০ হাজার পার করলেই লকডাউন জারি করা হবে। গতকাল রাজ্য়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানান, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মুম্বইয়ের লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
দিল্লিতে শুরু সপ্তাহন্তে কার্ফু:
রাজধানীতেও ফের বড়সড় লাফ দেখা গিয়েছে দৈনিক করোনা সংক্রমণে। গত ঘণ্টাতেই দিল্লি(Delhi)-তে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৩৫ জন। একদিনেই সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও, একদিনেই দিল্লিতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। বর্তমানে দিল্লির সংক্রমণের হার, অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৭৩ শতাংশে।
সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে দিল্লি সরকার। নৈশ কার্ফুর পাশাপাশি গতকাল থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহন্তে কার্ফু। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা অবধি এই কার্ফু জারি থাকবে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই আইডি কার্ড দেখিয়ে আসা-যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কার্ৎফু চলাকালীন সময়ে।
দক্ষিণেও বৃদ্ধি করোনা সংক্রমণে:
শুধু মেট্রো শহরগুলিতেই নয়, দক্ষিণের একাধিক রাজ্য়েও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টাতেই সংক্রমণে ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। একদিনেই ৮৪৪৯ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে কেবল বেঙ্গালুরুতেই ৬৮১২ জ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।