India-China Conflict: ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যায় কি ইতি পড়বে? ‘পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে’র খোঁজে ফের কর্পস কমান্ডার বৈঠক

Line of Actual Control: ১৪ তম কর্পস কমান্ডার স্তরের মূল যে আলোচ্য় বিষয়টি ছিল তা হল - দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সমস্যাগুলির একটি "পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধান" এর জন্য আলোচনা করা।

India-China Conflict: ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যায় কি ইতি পড়বে? পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের খোঁজে ফের কর্পস কমান্ডার বৈঠক
ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা সমাধানে শীঘ্রই আরও এক দফা কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠক (ফাইল ছবি)

| Edited By: Soumya Saha

Jan 28, 2022 | 11:06 PM

নয়া দিল্লি : একের পর এক কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠক। কিন্তু তারপরও কোনও পাকাপাকি সমাধান এখনও নেই। তবে এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সমস্যা সমাধানের কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিন  (India-China Conflict) পশ্চিম সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অবশিষ্ট সমস্যাগুলির একটি পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজতে এর আগের কর্পস কমান্ডার স্তরের (Corps Commander meeting) বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠক অনুযায়ী দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। পশ্চিম সেক্টরে চিনের সঙ্গে যে সীমান্ত অচলাবস্থা চলছে, সেই সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে কর্পস কমান্ডার স্তরের ১৪ তম দফার বৈঠক অনুযায়ী, উভয় পক্ষ সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। উল্লেখ্য ১৪ তম কর্পস কমান্ডার স্তরের মূল যে আলোচ্য় বিষয়টি ছিল তা হল – দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সমস্যাগুলির একটি “পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধান” এর জন্য আলোচনা করা।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে, অবশিষ্ট সমস্যাগুলির সমাধান পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতে সাহায্য করবে। অরিন্দম বাগচির বক্তব্য, উভয় পক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সমস্যাগুলির পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে পেতে সম্মত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষই শীঘ্রই কমান্ডার স্তরের পরবর্তী দফা আলোচনার জন্য সম্মত হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১২ জানুয়ারী, দুই দেশের মধ্যে কোর কমান্ডার পর্যায়ে ১৪ তম বৈঠকে কোনও সাফল্য আসেনি।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন

প্যাংগং লেক এলাকায় ২০২০ সালের ৫ মে যে হিংসাত্মক সংঘর্ষের ঘটেছিল, তার পর থেকেই ভারত ও চিনের মধ্যে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত বরাবর অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অচলাবস্থা দূর করতে দুই পক্ষের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে, উভয় দেশের প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার জওয়ানকে এই স্পর্শকাতর সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে চিন বলেছিল, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। সেই মতো, পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের অবশিষ্ট এলাকাগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য ১২ জানুয়ারি কর্পস কমান্ডার-স্তরের আলোচনায় বসেছিল দুই পক্ষ।

লাদাখের সীমান্ত সমস্যা আরও কাছাকাছি এনেছে ভারত – আমেরিকাকে

ভারত এবং চিন এখনও পর্যন্ত তাদের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য তৃতীয় কোনও দেশের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে অতীতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা ভূ-রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। চিনের সঙ্গে বর্তমান সীমান্ত উত্তেজনা ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে। উপরন্তু ভারত কোয়াড-এর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এ পর্যন্ত দুই দেশের উত্তেজনা নিয়ে নীরব থাকা রাশিয়াও ভারত ও চিনের সঙ্গে এই ইস্যুতে আলাদাভাবে কথা বলছে।