দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমেরিকার শক্তি সচিবের সঙ্গে বৈঠক পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্রর
মিটিংয়ে ধর্মেন্দ্র ও গ্র্যানহমের মধ্যে বায়োফুয়েল, হাইড্রোজেনের উৎপাদন, কার্বনের ব্যবহার ও কার্বন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) লক্ষ্য পূরণে বৈঠক হল আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে। বৈঠকে চিলেন ভারতের পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও মার্কিন শক্তি সচিব জেনিফার গ্র্যানহম। সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন দু’জন, যেখানে আলোচনা হয় আমেরিকা ও ভারতের শক্তি নিয়ে স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারির।
গ্রিন এনার্জি কো-অপারেশন ও কার্বন নিয়ন্ত্রণে সহমত পোষন করেন জেনিফার ও ধর্মেন্দ্র। বৈঠকের পর টুইট করে ধর্মেন্দ্র প্রধান লিখেছেন, “মার্কিন শক্তি সচিব গ্র্যানহমের সঙ্গে একটি অসাধারণ বৈঠক হয়েছে। আমি গ্র্যানহমকে হাই অফিসে পদ পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছি। ভারত ও আমেরিকার এনার্জি কো-অপারেশনের অংশীদারি নিয়েও কথা হয়েছে।”
1. Had an excellent introductory meeting virtually with US Secretary of Energy H.E Jennifer Granholm. Congratulated @SecGranholm on assuming the high office. Reviewed the India-US Strategic Energy Cooperation (SEP). @ENERGY pic.twitter.com/pm6WNORYY4
— Dharmendra Pradhan (@dpradhanbjp) March 29, 2021
মিটিংয়ে ধর্মেন্দ্র ও গ্র্যানহমের মধ্যে বায়োফুয়েল, হাইড্রোজেনের উৎপাদন, কার্বনের ব্যবহার ও কার্বন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা হয়েছে। দুই দেশের অ্যাডভান্স ক্লিন এনার্জি রিসার্চের বিষয়েও কথা হয়েছে গ্র্যানহম ও ধর্মেন্দ্রর মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ গ্রহণের পর থেকেই বারবার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতার কথা বলেছেন। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরই প্যারিস জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে ফিরেছিল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকাকে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। মার্কিন নির্বাচনে অন্য়তম ইস্যু ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি।
ট্রাম্প আমলে ভারতের সঙ্গে সখ্য বৃদ্ধি হয়েছিল আমেরিকার। কিন্তু বাইডেন ক্ষমতায় আসায় একই পথে হাঁটছে ভারত ও আমেরিকা। জলবায়ু নিয়ে দুই দেশই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণে দুই দেশের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে সদর্থক ভূমিকা নেবে। যা বিশ্বের অন্য়ান্য দেশকেও এই বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে আগ্রহী করে তুলবে।