মুম্বই: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছিল তারা। তবে বিভিন্ন রাজ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। আর লোকসভা নির্বাচনের পর বিরোধীদের সেই ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রথমে অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়ে দেন, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়বে আপ। তারপর উদ্ধব ঠাকরে জানান, বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচনে একা লড়বে তাঁর দল। ইন্ডিয়া জোটের অস্তিত্ব নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখন ময়দানে নামলেন ইন্ডিয়া জোটের বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ার। কোন নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে লড়বে, সেকথা জানিয়ে দিলেন তিনি।
কয়েকমাস আগে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হওয়ায় একা লড়েছিল আপ। জম্মু ও কাশ্মীরেও কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটে ছিল না তারা। এরপর আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কেজরীবালের দল। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাও বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচনে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সবিমিলিয়ে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এদিন এনসিপি(এসপি) প্রধান শরদ পাওয়ার বলেন, “ইন্ডিয়া জোটে কখনই রাজ্য ও পুর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি। শুধুমাত্র জাতীয়স্তরের নির্বাচনের জন্য ইন্ডিয়া জোট।” মহারাষ্ট্রে পুরভোট নিয়ে তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রে আসন্ন পুরভোটে জোট বেঁধে লড়াই হবে নাকি প্রত্যেকে আলাদা লড়বে, তা ৮-১০ দিনের মধ্যে বৈঠক করে ঠিক হবে।”
এদিন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও মুখ খোলেন শরদ পাওয়ার। দিল্লিতে আপ ও কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আপকে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। আপকে সমর্থনের কথা বললেন শরদ পাওয়ারও। এদিন তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরীবালকে আমাদের সাহায্য করা উচিত।” দিল্লিতে নির্বাচনে কংগ্রেসের পাশে ইন্ডিয়া জোটের আরও এক শরিক যে নেই, পাওয়ারের মন্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে গেল।