
বুধবার মারাঠাভূমে পা রাখছেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রয়েছে বিশাল তিন চমক। হাত আরও শক্ত হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনার। স্নায়ুর চাপ আরও বাড়ছে পাকিস্তান, চিনের মতো দেশগুলির।

নৌসেনার শক্তি আরও বাড়িয়ে তিনটি রণতরী কাঁপাতে চলছে ভারতের সমুদ্র পথ। মাঠে নামছে আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি এবং আইএনএস ভাগশীর। ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সীমান্তে নজরদারি ও সেনার সামগ্রিক শক্তিবৃদ্ধিতে এটা বিরাট পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

এই তিন যুদ্ধ জাহাজ ভারতের হাতে এসে যাওয়ায় গোটা বিশ্বেই ভারতের নৌসেনার দাপট আরও বেশ কিছুটা যে বেড়ে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শীর্ষ তালিকায় থাকার স্বপ্নের দৌড়েও ভারত বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

আইএনএস নীলগিরি হল ১৭এ স্টিলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের প্রথম জাহাজ। এটির নীল নকশা তৈরি করেছিল নৌসেনার ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো। অন্য রণতরীর থেকে দীর্ঘ সময় সমুদ্রে ভেসে থাকার ক্ষমতা রয়েছে এই প্রবল পরাক্রমশালী নয়া প্রজন্মের যুদ্ধ জাহাজের।

আইএনএস সুরাট আবার ১৫বি ক্লাস গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার প্রকল্পের চতুর্থ এবং শেষ জাহাজ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম, সবচেয়ে উন্নত ডেস্ট্রয়ারগুলির মধ্যে একটি। এর ৭৫ শতাংশই তৈরি হয়েছে ভারতে।

এতে একদিকে যেমন থাকছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র, একইসঙ্গে শত্রুদের চিহ্নিত করতে থাকছে নতুন প্রজন্মের সব সেন্সর। যোগাযোগের জন্য থাকছে থাকছে উন্নত নেটওয়ার্ক।

ফরাসি নৌবাহিনীর সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে আইএনএস ভাগশির। এটি পি৭৫ স্করপিন প্রকল্পের ষষ্ঠ এবং শেষ সাবমেরিন। চুপিসারে শত্রুদের উপর নজরদারিতে আইএনএস ভাগশীর সাবমেরিনের জুড়ি মেলা ভার।

তবে বুধবার প্রধানমন্ত্রী মুম্বইতে ইসকন প্রকল্পের অধীনে শ্রী শ্রী শ্রী রাধা মদনমোহনজি মন্দিরের উদ্বোধনও করবেন। নয় একর জুড়ে বিস্তৃত এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে অনেক দেবদেবীর মন্দির, একটি বৈদিক শিক্ষা কেন্দ্র, একটি প্রস্তাবিত জাদুঘর, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র।