কোন পথে পরবর্তী সেনা প্রত্যাহার? সূত্র খুঁজতে ১৬ ঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করল ভারত-চিন

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 21, 2021 | 11:01 AM

প্যাংগং হ্রদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই গতকাল সকাল দশটায় চুসুল সেক্টরের বিপরীতে মলডোয় দশম দফা সেনাস্তরীয় বৈঠকে বসে ভারত (India) ও চিন (China)। সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া সেই বৈঠক চলে ১৬ ঘণ্টা অবধি।

কোন পথে পরবর্তী সেনা প্রত্যাহার? সূত্র খুঁজতে ১৬ ঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করল ভারত-চিন
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: ইতিমধ্যেই প্যাংগং হ্রদ থেকে পিছু হটেছে ভারত-চিনের সেনা। পূর্ব লাদাখের বাকি অঞ্চলগুলিতেও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে উদ্যোগী দুই দেশ, সেই উদ্দেশেই শনিবার প্যাংগং (Pangong)য়-র দক্ষিণ পাড়ে মলডোয় প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে চলল দশম দফা সেনাস্তরীয় বৈঠক (10th round of Military Talk)।

প্যাংগং হ্রদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই গতকাল সকাল দশটায় চুসুল সেক্টরের বিপরীতে মলডোয় দশম দফা সেনাস্তরীয় বৈঠকে বসে ভারত (India) ও চিন (China)। সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া সেই বৈঠক চলে ১৬ ঘণ্টা অবধি। এই বৈঠকে ডেপস্যাং (Depsang), হট স্প্রিং (Hot Spring) ও গোগরা(Gogra)-এ শান্তিপূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শুরুর আগে দুই পক্ষের তরফে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই বৈঠক। দুই পক্ষই সেনা প্রত্যাহারের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসছে।”

বিগত নয় মাস ধরেই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা স্বাভাবিক করতে এর আগেও নয় দফা বৈঠক করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, কয়েক দফা কূটনৈতিক ও সেনাস্তরীয় বৈঠকের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সহমত হয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনার নতুন স্ট্রেন কি আরও ভয়ঙ্কর বিপদের বার্তাবাহী, কী বলছেন এইমস কর্তা

সম্প্রতি রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)-ও জানিয়েছিলেন, একটি নির্দিষ্ট, সুশৃঙ্খল পদ্ধতি অনুসরণ করে প্যাংগং হ্রদের দুধার থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পরবর্তী বৈঠকে লাদাখের বিভিন্ন অংশে তৈরি হওয়া সংঘর্ষস্থলগুলি থেকেও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

গতবছরের এপ্রিল মাসে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দখল ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। জুন মাসে গালওয়ান (Galwan Clash) উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ভারতের তরফে ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার কথা জানানো হলেও চিনের তরফে হতাহত সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছিল। আট মাসের টালবাহানার পর চলতি সপ্তাহেই চিনের তরফেও কমান্ড্যার সহ পাঁচ জওয়ানের শহিদ হওয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজ দেরিতে দিলেই কার্যকারিতা বেশি, বলল অক্সফোর্ডও! ভারত নীতি বদলাবে?

Next Article