Afghanistan Issue: আফগানিস্তান পরিস্থিতির আমরা সকলেই চিন্তিত: এস জয়শঙ্কর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Oct 12, 2021 | 12:33 PM

Afghanistan, Taliban, গতমাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বলেছিলেন কোনও দেশ যেন নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য আফগানিস্তানের এই দুর্বল পরিস্থিতিতে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা না করে এবং নিজেদের সুবিধার জন্য সেদেশের পরিস্থিতিকে ব্যবহার না করে।

Afghanistan Issue: আফগানিস্তান পরিস্থিতির আমরা সকলেই চিন্তিত: এস জয়শঙ্কর
ছবি ফাইল চিত্র

Follow Us

বিশকেক: আফগানিস্তান (Afghanistan) পরিস্থিতির ওপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে ভারত। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) সাধারণ পরিষদের সভায় (General Assembly) আফগানিস্তানের নয়া তালিবান শাসন নিয়ে যে প্রশ্ন চিহ্ন গুলি উঠেছিল সেই গুলি ভারতের নজরে রয়েছে। সোমবার, কির্গিস্তানের (Kyrgyzstan) বিদেশ মন্ত্রী রুসলান কাজ়াকবেইভের (Ruslan Kazakbaev) সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মলনে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। কির্গিস্তান, কাজ়াখিস্তান (Kazakhstan) ও আর্মেনিয়ার (Armenia) মত মধ্য এশিয়ার দেশ গুলিতে চার দিনের সফরে গিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar)। দুদেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া এই বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার সময়, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং সেদেশের নিরাপত্তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করার বিষয় নিয়েও কির্গিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। “আমরা আফগানিস্তানের যাবতীয় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। সেদেশের বর্তমান অবস্থা আমাদের সকলের জন্যই চিন্তার কারণ। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া যেকোনও ধরণের অস্থিরতা এই অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বিরাজমান তালিবান (Taliban) শাসকদের থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে প্রত্যাশা রয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ আগেই দেওয়া হয়েছে।” বলেন বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর।

আরও পড়ুন Al-Qaeda: এক সপ্তাহে পরপর দু’বার ভিডিয়োতে বার্তা দিল আল কায়েদা

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nation Security Council) ২৫৯৩ নম্বর প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ, বা তাদের আর্থিক সহায়তা করার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ বিশেষত জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা ও জইশ ই মহম্মদের কথা উল্লেখ করেছিল। টুইটে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন “আফগানিস্তানের উন্নয়ন নিয়ে ভারত ও কির্গিস্তানের মধ্যে মতামত বিনিময় হয়েছে। ”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসে কাবুলের (Kabul) মসনদ দখল করেছে তালিবান। সামরিক আন্দোলনের মাধ্যমে পশ্চিমী দেশ গুলির সমর্থন নিয়ে চলা আসরফ গণি সরকারের পতন ঘটিয়ে শাসনভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে তালিব যোদ্ধারা। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ অবধি কাবুলের ক্ষমতায় ছিল তালিবান। আমরিকায় ৯/১১ জঙ্গি হানার পরই আফগানিস্তান থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল তারা।

গতমাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বলেছিলেন কোনও দেশ যেন নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য আফগানিস্তানের এই দুর্বল পরিস্থিতিতে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা না করে এবং নিজেদের সুবিধার জন্য সেদেশের পরিস্থিতিকে ব্যবহার না করে। নিউ ইয়র্কে হওয়া ৭৬ তম রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় মোদী বলেছিলেন, কোনও ধরণের জঙ্গি কার্যকলাপ বা নাশকতা ঘটানোর মাধ্যম হিসেবে কাবুলকে যেন ব্যবহার না করা হয়

আরও পড়ুন Kolkata: সপ্তমীর সকালেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কলকাতায় বাড়ি ভেঙে মৃত এক

Next Article