AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা মোকাবিলায় রেজিনেরন, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল ভারত

প্রসঙ্গত, হু-র (WHO) রিপোর্ট বলছে, গত সপ্তাহে বিশ্বে যত মানুষ করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর প্রায় অর্ধেক ভারতের। গত সাতদিনে নতুন করে ৫৭ লক্ষ করোনা আক্রান্তের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২৬ লক্ষই ভারতের বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, ভীতি ধরাচ্ছে মৃতের সংখ্যার রিপোর্টও। হু-র দাবি, আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৮০ জনের।

করোনা মোকাবিলায় রেজিনেরন, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল ভারত
প্রতীকী ছবি
| Updated on: May 06, 2021 | 12:10 AM
Share

নয়া দিল্লি: করোনার (COVID19) দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে কার্যকরী হতে পারে রেজিনেরন। কোভিড অ্যান্টিবডি ককটেলকে জরুরী ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। বুধবার, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রোচে ও ভারতের সিপলা (CIPLA) ড্রাগ কোম্পানির যৌথ সিদ্ধান্তে জানানো হয়,  রেজিনেরন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম।

সিপলার তরফে জানা গিয়েছেন, রেজিনেরন করোনা সংক্রমণের মাইল্ড ও মডারেট স্টেজে কাজ করতে সক্ষম। তবে সংক্রমণের মাত্রাতিরিক্ত তীব্রতায় এটি কতটা কাজ করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা আবিষ্কারে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল গোটা বিশ্ব। গতবছরই, করোনা প্রতিরোধে মার্কিনি সংস্থা রোচের রেজিনেরনের অ্যান্টিবডি ককটেলের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও (Donald Trump) রেজিনেরন দেওয়া হয়। সেই সময়ে ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়, মোট চার ধরনের ব্যক্তিদের উপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এঁরা হলেন,  যাঁরা করোনায় আক্রান্ত, যাঁদের রোগের লক্ষণ রয়েছে , যেসব ব্যক্তি সুস্থ আছেন কিন্তু অসুস্থ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে এবং স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিরা যাঁরা অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে এসেছেন। দীর্ঘ এক বছর ধরে মানব শরীরে এর প্রয়োগের পর বুধবার অবশেষে রেজিনেরনকে (Regeneron) জরুরি ভিত্তিতে ব্য়বহারের ছাড়পত্র দেয় ভারত।

প্রসঙ্গত, ভারতে করোনা টিকা তৈরির দৌড়ে প্রথমেই আছে সেরাম ইন্সটিটিউট এবং তারপরেই আছে ভারত বায়োটেক। দেশজুড়ে উত্তরোত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আকাল দেখা দিয়েছে টিকাপ্রদানেও। পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই করোনার ওষুধ রেমডিসিভিরও। এই পরিস্থিতিতে রেজিনেরন করোনা প্রতিরোধে সাফল্যের নতুন মাইলফলক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, হু-র (WHO) রিপোর্ট বলছে, গত সপ্তাহে বিশ্বে যত মানুষ করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর প্রায় অর্ধেক ভারতের। গত সাতদিনে নতুন করে ৫৭ লক্ষ করোনা আক্রান্তের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২৬ লক্ষই ভারতের বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, ভীতি ধরাচ্ছে মৃতের সংখ্যার রিপোর্টও। হু-র দাবি, আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৮০ জনের। এই সংখ্যাও বিশ্বের ২৫ শতাংশ।গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, শেষ ১৪ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের উপরে রয়েছে। যা বিশ্বের দৈনিক মোট আক্রান্তের প্রায় ৪৬ শতাংশ। এদিকে হু-এর মহামারি সংক্রান্ত এই সাপ্তাহিক রিপোর্টটি বুধবারই প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব পরিসংখ্যান। জানানো হচ্ছে, গত সপ্তাহ থেকে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।