Yasin Malik: ‘সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই প্রশ্রয় নয়’, ইয়াসিন মালিকের সাজায় ইসলামিক দেশগুলির মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির
India counters Islamic Nations: বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার যাবতীয় তথ্য রয়েছে এবং তা আদালতেও পেশ করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি : সন্ত্রাসবাদে মদত এবং সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। তারপর থেকে ইসলামিক দেশগুলি ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে। এবার সেই নিয়ে পাল্টা দিল দিল্লিও। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের কাছে ভারত আবেদন জানিয়েছে, এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে যেন কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। গোটা বিশ্ব যে সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলছে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে দিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার যাবতীয় তথ্য রয়েছে এবং তা আদালতেও পেশ করা হয়েছে। এনআইএ আদালত ইয়াসিন মালিককে নিয়ে যে রায় দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গে ইসলামিক দেশগুলি থেকে যে ধরনের মন্তব্য করছে, সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, “OIC-IPHRC থেকে ইয়াসিন মালিক মামলার রায় সম্পর্কে যে ধরনের সমালোচনা করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই মেনে নিচ্ছে না ভারত। এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে OIC-IPHRC ইয়াসিন মালিকের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে সমর্থন করছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে যুক্ত থাকার তথ্য আদালতে পেশ করা হয়েছে। গোটা বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। OIC-র কাছে আবেদন করা হচ্ছে, তারা যেন কোনওভাবে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় না দেয়।”
উল্লেখ্য, দিল্লির এনআইএ আদালত বুধবারই জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ সাহায্যের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। ইয়াসিনকে দুই বার যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। এনআইএ-র তরফে ইয়াসিনকে মৃত্যদণ্ডের সাজা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল।
ইসলামাবাদ থেকে আগেই ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে ‘মনগড়া’ বলে দাবি করেছিল। এই নিয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকেও পাঠিয়েছিল সেদেশের সরকার। সেখানে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছিল।