AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi Blast: দেশে বাড়ছে জৈব নাশকতার ভয়! বাঁচাতে পারে এই একটা রিপোর্ট

Biological Warfare: কার্গিল যুদ্ধের পর দেশে নিরাপত্তা ঢেলে সাজাতে ৩২ দফা পরামর্শ দিয়েছিল সুব্রহ্মণ্যম কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ঘরে-বাইরে শক্র, যাঁরা খুব সহজে ভারতে যা খুশি ঘটাতে পারে এবং ঘটাচ্ছেও। তার একটা বড় কারণ, আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় অভাব। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে তথ্য বিনিময়ে নতুন কৌশলের কথা ভাবতেই হবে।

Delhi Blast: দেশে বাড়ছে জৈব নাশকতার ভয়! বাঁচাতে পারে এই একটা রিপোর্ট
দিল্লিতে বিস্ফোরণ
| Updated on: Nov 28, 2025 | 11:37 PM
Share

নয়াদিল্লি: একটা ঘটনা ২৪ বছর আগের। আরেকটা মাত্র ৪ বছর পুরনো। দিল্লির সরকারি বাবুরা আলমারি খুলে ধুলো ঝেড়ে খুঁজলে, হয়তো রিপোর্ট দু’টো এখনও পাওয়া যাবে। দিল্লি নাশকতার পর এই দুই রিপোর্টের গুরুত্ব যেন হাজার গুণ বেড়ে গিয়েছে। শাহিন, উমররা যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন জৈব নাশকতা, রসায়নিক নাশকতার ঝুঁকি নিয়েই দিন কাটাতে হবে জনসাধারণকে। এবার আসা যাক সেই দু’টি নথির কথায়।

প্রথমটা, ২০০১ সালে সুব্রহ্মণ্যম কমিটি রিপোর্ট। দ্বিতীয়টা ভারতীয় সেনার নিউ এজ ওয়ারফেয়ার গ্রুপের সুপারিশ। কার্গিল যুদ্ধের পর দেশে নিরাপত্তা ঢেলে সাজাতে ৩২ দফা পরামর্শ দিয়েছিল সুব্রহ্মণ্যম কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ঘরে-বাইরে শক্র, যাঁরা খুব সহজে ভারতে যা খুশি ঘটাতে পারে এবং ঘটাচ্ছেও। তার একটা বড় কারণ, আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় অভাব। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে তথ্য বিনিময়ে নতুন কৌশলের কথা ভাবতেই হবে।

কাট টু কোভিড! তখন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনাকে বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। জেনারেল রাওয়াতের বলেছিলেন, জৈব হামলা বা নাশকতা বাদ দিয়ে এখন আর যুদ্ধ-প্রস্তুতি সম্ভব নয়। তবে অসম্ভবও ঠিক নয়। তাই এখনই সেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে বলেই ধারণা একাংশের।

ভারতের কী হাল?

কেউ কেউ বলেন, জৈব যুদ্ধের মোকাবিলার ব্যাপারে ভারত এখনও কার্যত নিধিরাম সর্দার। নেই ঢাল, নেই তরোয়াল। সব রাজ্যেরই কমবেশি একই অবস্থা। ভারতীয় সেনার নিউ এজ ওয়ারফেয়ার গ্রুপ বরং বহুদিন ধরে এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাও খুব বড় আকারে নয়। বিরাট এলাকায় আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে, সেনা কাজে নামার আগেই হয়তো বড় বিপদ ঘটে যাবে। অথচ বায়োলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারের প্রথম কথাই হলো, বিপদের সূত্র ও সম্ভাবনাকে শুরুতেই নির্মূল করা। দ্বিতীয়ত, খোলামেলা ঘরে, পুরনো আমলের বাড়িতে বিপদের সম্ভাবনা অনেক কম। খাবারে বিষক্রিয়া থেকে হয়তো এটা বাঁচাবে না। কিন্তু অন্য অনেক বিপদ থেকে বাঁচাবে।