তাওয়াং: কয়েক দশক পুরনো সীমান্ত বিরোধ। মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়েছে বেশ কয়েকবার। প্রতিবারই প্রতিবেশী চিনকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত। তবে তাতেও শিক্ষা হয়নি চিনের। সম্প্রতিই ফের দুঃসাহস দেখিয়েছে তারা। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং দিয়ে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে লাল ফৌজ। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। কার্যত লাঠিপেটা করে ফেরত পাঠানো হয় চিনের ৩০০ সৈন্যকে। এই ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে আরও নজরদারি বেড়েছে। বদল আনা হয়েছে রণকৌশলেও। আকাশপথে টহলদারি চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। কেমন সেই প্রস্তুতি, দেখে নেওয়া যাক একনজরে-
২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও চিনের মধ্যে নতুন করে বিবাদ শুরু হয়। দিন কয়েক পরেই গালওয়ানের উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। সেই গালওয়ান থেকেই শিক্ষা নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বদল আনা হয়েছে রণকৌশলে। আর সেই রণকৌশল বদলাতেই হাতেনাতে মিলেছে ফল। অরুণাচলের তাওয়াংয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই চিনকে উচিত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
রণকৌশলে পরিবর্তন-
লাল ফৌজের দাপাদাপি রুখতেই বদল আনতে হয়েছে ভারতীয় সেনার রণকৌশলে। আগে শীতকালে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তগুলি থেকে সরে আসত সেনাবাহিনী। চরম তাপমাত্রায় টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হওয়ার কারণেই এই পন্থা অনুসরণ করা হত। তবে সূত্রের খবর, এবার চরম শৈত্যপ্রবাহেও পাহাড়ের কোলে অবস্থিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর থাকা পোস্টগুলি থেকে সরে গিয়ে নিচে নেমে আসেনি ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রবল শীতেও তাঁবুতেই থেকে যান জওয়ানরা। আর সেই কারণেই চিন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয় ভারতীয় সেনা।
চরম শীতের মোকাবিলা করতে আগে থেকেই সেনা পোস্টে মজুত করা ছিল পর্যাপ্ত খাবার, অত্যাধুনিক শীতের পোশাক। মজুত করা হয় প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদও। চিনের ছক ছিল, অতর্কিতে হামলা চালালে ভারতীয় সেনা অপ্রস্তুত হয়ে পড়বে। সহজেই তারা সীমান্ত পার করে অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু ভারতীয় সেনার এত সংখ্যক জওয়ান যে আগে থেকেই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিল, তা বুঝতেও পারেনি চিন। সেই কারণেই গণধোলাই খেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় লাল ফৌজকে।